শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

মুকুলে দোল খাচ্ছে চাষিদের স্বপ্ন

চুয়াডাঙ্গা থেকে কামাল উদ্দীন জোয়ার্দ্দার | প্রকাশের সময় : ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৫ এএম


ফুটেছে আমের মুকুল, ছড়াচ্ছে সুবাসিত ঘ্রাণ। কবির ভাষায়, ‘ফাল্গুনে বিকশিত কাঞ্চন ফুল, ডালে ডালে পুঞ্জিত আম্রমুকুল। বনে বনে ফুল ফুটেছে, দোলে নবীন পাতা।’ এ যেন বসন্ত জাগ্রত দ্বারে।
চুয়াডাঙ্গা জেলার আম গাছগুলোতে এর মধ্যেই মুকুল আসতে শুরু করেছে। নানা ফুলের সঙ্গে সৌরভ ছড়াচ্ছে আমের মুকুলও। আমের মুকুলের মিষ্টি ঘ্রাণে মৌ মৌ করছে প্রকৃতি।

আমের মুকুলে তাই এখন মৌমাছির গুঞ্জন। মুকুলের মিষ্টি ঘ্রাণ যেন জাদুর মতো কাছে টানছে তাদের। গাছের প্রতিটি শাখা-প্রশাখায় তাই চলছে ভ্রমরের সুর ব্যঞ্জনা। শীতে স্নিগ্ধতার মধ্যেই শোভা ছড়াচ্ছে সোনালি মুকুল। বছর ঘুরে আবারো তাই ব্যাকুল হয়ে উঠেছে আম প্রেমীদের মন।
এবার সময়ের আগেই সোনালি মুকুলে ভরে গেছে চুয়াডাঙ্গা জেলার আম বাগান। তাই দখিনা বাতাসে দোল খাচ্ছে চাষির স্বপ্ন। গাছে গাছে ঝুলছে আমের মুকুল। পৌষের আমন্ত্রণে আসা আগাম মুকুল মাঘকে স্বাগত জানিয়ে বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীদের মনে আশার আলো জ্বালিয়েছে।

বিভিন্ন এলাকার কয়েকটি বাগান ঘুরে দেখা গেছে, গাছে গাছে নানা ফুলের সঙ্গে আমের মুকুলের মিষ্টি ঘ্রাণ আকাশে বাতাসে মৌ মৌ গন্ধে মাতোয়ারা করে তুলছে। থোকায় থোকায় হলুদ রঙের মুকুল আসতে শুরু করেছে। গাছে মুকুল ও গুটি আম দেখে ইতোমধ্যে বেপারিরা বাগানের দরদাম হাঁকছেন। আর বাগানের মালিকেরা আমের ভালো ফলন পেতে ছত্রাক নাশক প্রয়োগসহ বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ততার সময় পার করছেন।
আম চাষিরা খুশি হলেও কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, শীত বিদায় নেওয়ার আগেই আমের মুকুল আসা ভালো নয়। এখন ঘন কুয়াশা পড়লে বা বৃষ্টি হলে গাছে আগেভাগে আসা মুকুল চরম ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যা ফলনেও প্রভাব ফেলবে।
এ জেলাতে প্রধান প্রধান আমের আবাদ হচ্ছে, আম্রপালি, লেংড়া, ফজলি, হাড়িভাঙা, মল্লিকা, থাই, গোপালভোগ, বারি ১০, দেশি, বেনারসি সিতাভোগ। এর মধ্যে সিংহভাগই আ¤্রপালি।

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার হোগলডাঙ্গা গ্রামের আম চাষি রমজান আলী জানান, এবছর আমার আম গাছে প্রচুর পরিমাণে মুকুল আসতে শুরু করেছে। এখন পর্যন্ত আমের মুকুলে কোনো রোগ-বালাই আক্রমণ করেনি। আবহাওয়াও ভালো। যদি কোনো প্রাকৃৃতিক দুর্যোগ না আসে আশা করছি প্রতিটি আমগাছেই পর্যাপ্ত পরিমাণে আম ধরবে।

সদরের গাড়াবাড়িয়া গ্রামের আম বাগানের মালিক আলমগীর হান্নান জানান, বাগানের অধিকাংশ গাছই এরইমধ্যে মুকুলে ছেয়ে গেছে। এবার কুয়াশা কম থাকায় মুকুল ভালোভাবে প্রস্ফুটিত হয়েছে। গত বছর সাড়ে ১৫ বিঘা জমিতে আমের বাগান ছিলো। যা বিক্রি করেছিলাম ৭ লাখ টাকায়। এবছর ২০ বিঘা আমের বাগান আছে। এলাকাতে ফসলি চাষের জমি রেখে অনেকেই আম বাগান করেছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নাঈম আস সাকীব জানান, চুয়াডাঙ্গাতে আমের উৎপাদন ভালো হয়। এবছর একটু আগেভাগেই আম গাছে মুকুল আসছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন