ধামরাই (ঢাকা) উপজেলা সংবাদদাতা
ঢাকার ধামরাইয়ে নির্বাচনী সহিংসতায় শনিবার রাতে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নৌকা প্রতীকের ক্যাম্পে অতর্কিত হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় ৪ জনকে ছুরিকাহত করে পালিয়ে যাওয়ার সময় এলাকার জনগণ আলামিন নামের একজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এব্যাপারে রাতেই ধামরাই থানায় বিএনপির মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভাইসহ ২৪ জনের নাম উল্লেখসহ আরো অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এলাকাবাসী জানায়, সুতিপাড়া ইউনিয়নে শ্রীরামপুর বাজারে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী রেজাউল করিম রাজার নির্বাচনী ক্যাম্পে কয়েকজন নেতাকর্মী বসা ছিল। এ সময় ২০-২৫ জনের একদল সশস্ত্র যুবক ওই ক্যাম্পে অতর্কিত হামলা করে। হামলাকারীদের এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয় শ্রীরামপুর গ্রামের ও ঢাকা জেলা যুবলীগের সহ-স্বাস্থ্য ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম সহু, একই গ্রামের ও সূতিপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য সানায়ার, আরফান এবং অন্যজন হলোÑউপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য শাহজাহান। আহতদের প্রথমে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পরপরই উভয়পক্ষের মধ্যে শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। এ সময় শ্রীরামপুর বাজারের আশপাশের এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে এলাকাবাসী ধাওয়া করে আলামিন নামের একজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী রেজাউল করিম রাজা জানান, তার প্রতিপক্ষের লোকজন তার নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছে। অপরদিকে বিএনপির মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান রুমিজুর রহমান চৌধুরী রুমা জানান, যারা হামলা চালিয়েছে তারা তার কর্মী নয়। যাদের নামে মামলা হয়েছে তারা বিএনপির সমর্থক। তার সমর্থীত কর্মীদের হয়রানি করার জন্য এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত শনিবার বিকালে সূয়াপুর ইউনিয়নে বিএনপির এক কর্মীকে বেদম প্রহার করা হয়েছে। তাকে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া শুক্রবার একই ইউনিয়নে হকিস্টিক দিয়ে প্রহার করে ৫ কর্মীকে আহত করে। তারাও বর্তমানে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন