পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) উপজেলা সংবাদদাতা
দীর্ঘ ১ বছরের বকেয়া বেতনসহ চাকরি জাতীয় করণের দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে গত ১ মাস ধরে নকল নবিসরা কলম বিরতি পালন করে আসছে। ফলে জমি রেজিস্ট্রির পরও দলিলের নকল তুলতে না পেরে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে জনগণ। সরেজমিন রেজিস্ট্র্রি অফিসে গিয়ে দেখা যায় নকল নবিসদের অধিকাংশ নারী। তারা বেতন বন্ধ থাকায় ছোট সন্তানদের নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে। বাচ্চার দুধ ক্রয় থেকে শুরু করে লেখাপড়ার খরচ মিটাতে না পেরে তাদের মুখ মলিন হয়ে গেছে। নকল নবিস (এক্সটা মোহরার) দের চাকরি পে-স্কেল ভুক্ত না হওয়ায় সরকারি ছুটি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এক্সটা মোহরাররা বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতা ও মহার্ঘ্য ভাতাসহ সরকারি যাবতীয় সুযোগ- সুবিধা থেকে বঞ্চিত। নারী এক্সটা মোহরারদের বিনা পারিশ্রমিকে মাতৃকালীন ছুটি ভোগ করতে হয়। এসোসিয়েশনের সভাপতি নয়ন পান্ডে ও সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ ঘোষ বলেন, একজন নকল নবিসকে মাসে ৩শ’ পৃষ্ঠা লিখতে হয়। ৩শ’ পৃষ্ঠা লেখনি বাবদ সরকার জনগণের কাছ থেকে ১২ হাজার টাকা আদায় করেন। চাকরি জাতীয়করণ করলে ৪২তম গ্রেডে একজন নকল নবিসকে সব মিলিয়ে দিতে হবে ৮ হাজার ১২ টাকা। সরকারের অতিরিক্ত রাজস্ব আয় হবে ৩ হাজার ৯শ’ ৮৭ টাকা। তারা আরো বলেন, এটি এমন একটি খাত যেখানে নকল নবিসদের চাকরি জাতীয়করণ করলে সরকারকে অন্য কোন খাত থেকে অর্থ সংস্থান করতে হবে না। বরং রাজস্ব আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি এই গুরুত্বপূর্ণ খাতটিকে জবাব দিহিতার মধ্যে আনয়ন করে কাজের গুণগত মান বৃদ্ধি করা সম্ভব। ১৯৮৪ সালের ১৬ আগস্ট বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দলে থাকাকালীন এক্সটা মোহরারদের চাকরি স্থায়ীকরণের ঘোষণা দেন। আমলা তান্ত্রিক জটিলতায় বর্তমানে আটকে আছে। দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আগামী ১৮ মে থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করা হবে বলে তারা জানান। সাব-রেজিস্ট্রার বুলবুল আহম্মেদ জানান, নকল নবিসদের দাবি যৌক্তিক।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন