দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, ‘মানুষ এখন লোভের বশবর্তী হয়ে দুর্নীতি করছে। দুদক সেই লোভের জিহবা কেটে দেবে। জিহবা কাটার কাজ শুরু করেছে দুদক।’ গত ১৭ ফেব্রুয়ারি দুদকের কৌশলপত্র-২০১৯ প্রণয়ন উপলক্ষে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি। আমরা জানিনা, দুদক চেয়ারম্যান লোভের জিহবা কেটে দিতে পারবেন কিনা। এরকম হুমকি আমরা আগেও শুনেছি। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি। হাঁকডাক ও ভয়ভীতি দেখানোর পরও দুর্নীতি কমেনি। বরং দিন দিন এ ব্যাধিটির প্রকোপ বাড়ছেই। ফলে সমাজ সচেতন ব্যক্তিরা এর রাশ টেনে ধরার ওপর গুরুত্বারোপ করছেন সঙ্গতকারণেই। দুর্নীতির বিষবৃক্ষ যদি তার ডালপালা মেলে গোটা সমাজকে ছেয়ে ফেলতে পারে, তাহলে ন্যায়-নীতি, মূল্যবোধ হারিয়ে যাবে। সমাজ ও অরণ্যের সাথে তেমন কোনো পার্থক্য থাকবে না।
সম্প্রতি ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের তরফে বাংলাদেশে দুর্নীতির মাত্রা বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে। খবরটি এ দেশের মানুষের জন্য বেদনাদায়ক। কারণ, এ ধরনের প্রতিবেদনে দেশের দুর্নীতিরযে চিত্র উঠে আসে তা কোনোমতেই সুখকর বা মর্যাদাকর নয়। আন্তর্জাতিক কোনো সংস্থার প্রতিবেদনে এ ধরনের নেতিবাচক তথ্য প্রকাশিত হলে কারোই খুশি হওয়ার কথা নয়। তবে, বিরোধী দল এটা ভেবে আত্মপ্রসাদ লাভ করতে পারে যে, এতে সরকার বিব্রত হবে এবং তাদের ভাবমূর্তিও ক্ষুন্ন হবে; যার সুফল বিরোধী দলের থলেতে গিয়ে পড়বে। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এ ধরনের রিপোর্ট গোটা জাতির জন্যই বিব্রতকর। বিগত বিএনপি সরকারের আমলে একাধিকবার টিআই’র দুর্নীতির ধারনা সূচকে বাংলাদেশ শীর্ষে ছিল। তখন তা নিয়ে আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করতে দেখা গেছে। ওই সময় বিএনপিকে দেখা যেত টিআই সম্পর্কে আওয়ামী লীগ এখন যা বলছে, ঠিক তদ্রæপ কথা বলতে। সে সময় আওয়ামী লীগও বোধহয় এটা ভুলে গিয়েছিল যে, তারাও একদিন সরকারে আসবে, তখনও টিআই এমন রিপোর্ট প্রকাশ করতে পারে; যার নেতিবাচক প্রভাবের উত্তাপ তাদের গায়েও লাগবে। আর সেজন্যই চিন্তাশীল ব্যক্তিরা মনে করেন, এ ধরনের পরিস্থিতিতে বিরোধীপক্ষের উল্লাস প্রকাশ না করে দুর্নীতি নিরসনে কী করা দরকার সে সম্পর্কে কথা বলা।
গত ২৯ জানুয়ারি টিআই দুর্নীতির ধারনা সূচকের যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তাতে আগের বছরের তুলনায় বাংলাদেশের অবস্থানের অবনতির কথা বলা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান দেখানো হয়েছে নিচের দিক থেকে ১৩, গত বছর যা ছিল ১৭। অর্থাৎ ২০১৮ সালে দুর্নীতি বেড়েছে । ২০১৭ সালে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ২৮, ২০১৮ তে তা নেমে এসেছে ২৬-এ। এ রিপোর্ট প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টান্যাশনাল বাংলাদেশ-টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান দুর্নীতিতে বাংলাদেশের অবনমনকে ‘বিব্রতকর’ উল্লেখ করে বলেছেন,‘উচ্চ পর্যায়ের দুর্নীতিবাজদের বাদ দিয়ে নি¤œ ও মধ্যম সারিতে ব্যবস্থা নেওয়ায় বাংলাদেশ আশানুরূপ উন্নতি করতে পারছে না। আমাদের দুর্নীতিবিরোধী অভিযান নি¤œ ও মধ্যম পর্যায়ে সীমাবদ্ধ। উচ্চপর্যায়ের দুর্নীতিবাজদের দিকে আমাদের নজর দিতে হবে এখন। দল ও পরিচয়ের ঊর্ধ্বে উঠে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।’ দুর্নীতির ধারনা সূচকে বাংলাদেশের এ অবনতির খবরে সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো না হলেও মন্ত্রীরা যে যার মতো করে বলেছেন। ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বলেছেন,‘ ট্রান্সপারেন্সি ইটারন্যাশনাল বাংলাদেশ-টিআইবি সব সময় আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। এগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে থাকে’। অন্যদিকে ৩০ জানুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দুর্নীতির সূচক নির্ণয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের পদ্ধতি ত্রæটিপূর্ণ এবং বাংলাদেশের দুর্নীতি নিয়ে তাদের প্রতিবেদন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তাদের দুর্নীতির সূচক তৈরির পদ্ধতিটার মধ্যেই ট্রান্সপারেন্সি নেই। এক প্রশ্নের জবাবে সরকার টিআইবির প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করছে বলেও জানান তিনি। অন্যদিকে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ ওইদিনই তার অফিসকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘টিআইবি’র সঙ্গে আমাদের দ্বিমত থাকতে পারে। তবে আমরা কেউ কারো প্রতিপক্ষ নই। তাদের প্রতিবেদনকে স্বাগত জানাই। কিন্তু সঠিক ও নির্দিষ্ট তথ্য-উপাত্ত না দিলে আমরা সেটা বিশ্বাস করি না। তিনি বলেন, গালভরা রিপোর্ট সবাই দিতে পারে। আপনাকে বলতে হবে কোন সরকারি কর্মকর্তা, কোন রাজনৈতিক নেতা দুর্নীতি করেছে। কারা কীভাবে কোথায় অর্থ পাচার করেছে। তা না হলে এ মহাসমুদ্রে আমি কাকে ধরব? কাকে খুঁজব? আপনাদের রিপোর্টে যদি অ্যানালিটিকস না থাকে, ফ্যাক্টস অ্যান্ড ফিগার না থাকে, তবে সে রিপোর্ট গ্রহণযোগ্য হবে না।’
সরকারের মন্ত্রীদ্বয় এবং দুদক চেয়ারম্যানের মন্তব্যে সাজুয্য লক্ষণীয়। তারা সবাই প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে ফ্যাক্টস অ্যান্ড ডকুমেন্ট চেয়েছেন। তবে একটু পার্থক্য আছে। সরকারের মন্ত্রীগণ টিআই’র রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করেছেন, আর দুদক চেয়ারম্যান সেটাকে স্বাগত জানিয়েছেন। টিআই যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তাতে বলাই হয়েছে দুর্নীতির ধারনা সূচক। তারা সম্ভবত একটি দেশের গণমাধ্যমে উঠে আসা এবং কোনো গোপন জরিপের ভিত্তিতে এ ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশ করে থাকে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও বোধকরি সে রকমই হয়ে থাকবে। দুর্নীতি সম্পর্কে সংস্থাটি তাদের ধারনার কথা বলেছে। এখন সরকারের দায়িত্ব প্রতিবেদনটি বিশ্লেষণ করে তদানুযায়ী অনুসন্ধান চালানো এবং দুর্নীতির শিকড় খুঁেজ বের করতে সচেষ্ট হওয়া। ঠিক একই দায়িত্ব দুদকেরও।
আমরা যে এখন দুর্নীতির সমুদ্রে হাবুডুবু খাচ্ছি এটা কি অস্বীকার করা যাবে? প্রতিদিন সারা দেশে সংঘটিত যেসব দুর্নীতির খবর সংবাদ মাধ্যমে উঠে আসছে, তাতে কি এটাই অনুমিত হয় না যে, টিআই’র প্রতিবেদনের চেয়ে সংঘটিত দুর্নীতির পরিমান কম নয়, বরং বেশি হতে পারে? আর সেজন্যই সচেতন ব্যক্তিরা মনে করেন, টিআই’র প্রতিবেদনে ক্ষুব্ধ না হয়ে সরকারের উচিত দুর্নীতির বিরুদ্ধে গভীর অনুসন্ধান চালানো। এ ক্ষেত্রে দুদক পালন করতে পারে সহায়কের ভ‚মিকা। সাম্প্রতিক সময়ে পত্রিকায় প্রকাশিত কয়েকেটি দুর্নীতির খবরে চোখ রাখলে টিআই’র প্রতিবেদনকে অনেকটাই বিশ্বাসযোগ্য বলে যে কারো মনে হবে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টান্যাশনাল যেদিন দুর্নীতির ধারনা সূচক প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেছে, ওই একই দিনে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠান গেøাবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি (জিএফআই) এক রিপোর্টে উল্লেখ করেছে, ২০১৫ সালে বাংলাদেশ থেকে ৫৯১ কোটি ৮০ লাখ ডলার পাচার হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমান প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা। আমদানির ক্ষেত্রে ওভার ইনভয়েসিং এবং রফতানির ক্ষেত্রে আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে এর বেশিরভাগ অর্থ দেশের বাইরে পাচার করা হয়েছে। জিএফআইয়ের হিসাব অনুযায়ী গত দশ বছরে বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়েছে প্রায় ৭ হাজার কোটি ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমান ৫ লাখ ৮৮ হাজার কোটি টাকা। এই অর্থ পাচার যে দেশে সংঘটিত বেপরোয়া দুর্নীতিরই অংশ তা বোধকরি অস্বীকার করা যাবে না। রাষ্ট্রকে ফাঁকি দিয়ে বা বঞ্চিত করে কারা এ বিপুল পরিমান অর্থ বাইরে পাচার করে দিল তা খুঁেজ বের করা কষ্টসাধ্য ব্যাপার নয় বোধহয়। জিএফআই নামের সংস্থাটির কাছে নিশ্চয়ই এ বিষয়ে যথেষ্ট তথ্য-উপাত্ত রয়েছে। সরকারের দায়িত্ব সেসব তথ্য সংগ্রহ করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া।
অতিসম্প্রতি বেশ কয়েকটি পিলে চমকানো দুর্নীতির খবর বেরিয়েছে সংবাদ মাধ্যমে। সরকারি অফিসের পিয়ন কিংবা কেরানির শ’ শ’ কোটি টাকার মালিক বনে যাবার কাহিনী দেশবাসীকে বিস্মিত করেছে। এর মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মচারি আফজালের কয়েক বছরে ধনকুবরে বনে যাওয়া অনেকের কাছেই অবিশ্বাস্য মনে হয়েছে। দেশে বিদেশে তার যে বিপুল বিত্ত-বৈভবের বিবরণ বেরিয়েছে, তাতে প্রশ্ন উঠেছে- আফজালের কাছে কি আলাদীনের চেরাগ রয়েছে? সম্ভবত তার কাছে তা-ই রয়েছে। আর সে আলাদীনের চেরাগ হলো স্বাস্থ্য অধিদফতরের ওই পদটি; যেটিতে বসে সে এই বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছে। রূপকথার আলাদীনের চেরাগের একটি দৈত্য ছিল, প্রদীপে ঘষা দিয়ে ডাকলেই যে এসে আলাদীনের চাহিদা মতো প্রসাদ বানিয়ে দিত, সোনা-রূপা, হীরা-জহরত, মনি-মানিক্য এনে জড়ো করতো। কিন্তু আফজালের চেরাগের দৈত্যটি কে বা কারা? তার এ রাতারাতি ফুলে ফেঁপে ওঠার পেছনে যে কুশীলবরা রয়েছে, তাদের চেহারা মোবারক কি দেশবাসী দেখতে পাবে কখনো? সচেতন ব্যক্তিরা মনে করেন, আফজাল দুর্নীতির সমুদ্রে চুনোপুঁটি। তার সূত্র ধরে স্বাস্থ্য বিভাগের দুর্নীতির রুই-কাতলাগুলোকে জালবন্দি করার উদ্যোগ নিতে হবে সরকারকেই। আফজালের কাহিনীর রেশ মিলিয়ে যাবার আগেই জনসমক্ষে বেরিয়ে এলো ঢাকা বিদ্যুৎ বিতরণ কর্তৃপক্ষ-ডিপিডিসির নির্বাহী পরিচালক (প্রকৌশল) রমিজউদ্দিন সরকার ও তার স্ত্রী সালমা পারভীনের শত শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের খবর। দুদকের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসা এ কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর সম্পদের পরিমানও বিস্মিত করেছে সবাইকে। আর গত ৩ ফেব্রæয়ারি ঢাকার মহাখালিস্থ জাতীয় বক্ষব্যাধি হাসপাতালের হিসাব রক্ষক লিয়াকত হোসেন জুয়েল, তার স্ত্রী ও স্বজনদের যে সম্পদের বিবরণ বেরিয়েছে, তাতে যে কারো চক্ষু চড়কগাছ হওয়ারাই কথা! পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, জুয়েল, তার স্ত্রী ও স্বজনদের নামে রয়েছে প্রায় শতকোটি টাকার সম্পদ। ফরিদপুরে জুয়েলের বাড়িটির প্রধান ফটকের যে ছবি পত্রিকায় ছাপা হয়েছে, তাকে প্রাসাদ বলাই বোধহয় যুক্তিযুক্ত। হিসাব রক্ষক জুয়েলের বেহিসাবি দুর্নীতিই যে এমন সম্পদের পাহাড় গড়ার উৎস সেটা বোধকরি বলার অপেক্ষা রাখে না। দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে জুয়েল অবশ্য একেবারে ধোয়া তুলসিপাতা সেজেছে। সেটাই স্বাভাবিক। চোর তো হাতে নাতে ধরা পড়েও বলে আমি চুরি করিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতির বিরুদ্ধে তার সরকারের জিরো টলারেন্সের কথা ঘোষণা করেছেন । তার এ ঘোষণা দেশবাসীকে নিঃসন্দেহে আশান্বিত করে তুলেছে। তারা বিশ্বাস করে, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা মৌখিক নয়, আন্তরিকও বটে। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর আরেকটি মন্তব্য প্রণিধানযোগ্য। গত ১৭ জানুয়ারি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি বলেছেন, সরকারি কর্মচারিদের বেতন-বাতাসহ যেসব সুবিধা প্রয়োজন তা সরকার মেটাচ্ছে। তাহলে কেন দুর্নীতি হবে? প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের কথা পুনরুল্লেখ করে বলেন, কেউ দুর্নীতি করলে সঙ্গে সঙ্গে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। দুর্নীতি কেন করবে-প্রধানমন্ত্রীর এ প্রশ্নের সোজাসাপ্টা জবাব কারো কাছে আছে বলে মনে হয় না। তবে, প্রয়োজন মেটানোর পরেও দুর্নীতি করার কারণ বোধহয় সীমাহীন লোভ; যা মানষের শত্রæ ষড়রিপুর অন্যতম একটি। সম্পদশালী হওয়ার অপরিনামদর্শী লোভ যে আমাদের রাষ্ট্র ও সমাজের একটি অংশকে অন্ধ করে দিয়েছে, সে বিষয়ে খোদ প্রধানমন্ত্রীও হয়তো দ্বিমত প্রকাশ করবেন না।
বস্তুত, দুদক চেয়ারম্যান সে লোভের কথাই বলেছেন। তবে, দুর্নীতির মহাসমুদ্রে কীভাবে কাকে খুঁজবেন বলে যে প্রশ্ন তিনি তুলেছেন, তা নিয়ে অবশ্যই কথা বলার আছে। যদি ইচ্ছা থাকে সাগর সিঞ্চন করেও মুক্তো তুলে আনা সম্ভব। দুদক যদি দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতিকে সামনে রেখে সে সমুদ্রমন্থনে তৎপর হয়, তাহলে শুধু চুনোপুঁটি নয়, রাঘব-বোয়ালেরাও জালে আটকা পড়বে সহজেই।
লেখক: সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন