উপকুলীয় জনপদ খুলনার কয়রায় কপোতাক্ষ নদীর পাড়ে পানিউন্নয় বোর্ডের বেড়িবাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। অব্যহত ভাঙনের কারণে কয়রা সদরের গোবরা, ঘাটাখালী ও হরিনখোলা গ্রামের বাসিন্দারা রয়েছে ভাঙ্গন আতঙ্কে। ভাঙন রোধে জরুরী ভাবে ব্যবস্থা না নেয়া হলে নদীর তীরবর্তী জনপদের বিস্তির্ণ এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশংকা করছেন এলাকাবাসী।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, পানিউন্নয়ন বোর্ডের ১৩-১৪/২ নং পোল্ডারের গোবরা, ঘাটাখালী ও হরিনখোলা গ্রামের ভেড়িবাঁধ প্রায় ধসে যাবার উপক্রম। নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ধ্বসে গেছে নদীর পাড়ের বেড়িবাঁধের মাটি। অধিকাংশ জায়গায় বাঁধের গোড়ায় মাটি না থাকায় সংকীর্ণ ও খাড়া হয়ে গেছে ভেড়িবাঁধের রাস্তা। দুর্বল বাঁধ ভেঙে যেকোনো মুহূর্তে নদীতে বিলীন হয়ে যেতে পারে।
ভাঙ্গন কবলিত নদী তীরবর্তী এলাকার আছাফুর রহমান, আঃ খালেক ও ইমতিয়াজ হোসেন জানান, গত দুই সপ্তাহ ধরে ভেড়ি বাঁধের গোড়ার মাটি ধস বেড়েই চলেছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকার মানুষ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। তাদের অভিযোগ প্রতি বছর নদী ভাঙ্গন শুরু হলে ভাঙ্গন রোধের নামে বরাদ্দ অর্থ দিয়ে নামে মাত্র কাজ করে।
কয়রা সদর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল গফ্ফার ঢালী বলেন, এবার মৌসুমের শুরুতেই হঠাৎ করে হরিনখোলার ভেড়িবাঁধের গোড়ার মাটি ধ্বসে ভাঙন দেখা দিয়েছে। তিনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কাছে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের আমাদী সেকশন কর্মকর্তা মশিউল আলম জানান, কয়রা এলাকার পানিউন্নয়ন বোর্ডের ভেড়িবাঁধের সমস্ত স্পর্শকাতর স্থানগুলোর সার্বিক পরিস্থিতি উল্লেখ পূর্বক প্রতিবেদন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠানো হয়েছে। প্রয়োজনীয় অর্থ পেলেই দ্রুত সময়ের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ ভেড়িবাঁধ সংস্কার করা হবে।
কয়রা সদর ইউনিয়ানের প্যানেল চেয়ারম্যান মোস্তফা নাজমুছ ছাদাত বলেন, শুষ্ক মৌসুমে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা না নেয়া হলে কয়রা সদরের দরিদ্র মানুষ বসতবাড়ীসহ ফসলী জমি হারিয়ে আরো নিঃস্ব হয়ে পড়বে। তিনি দ্রুত বেড়িবাঁধ সংস্কারের জন্য পাউবোর উর্দ্ধতন নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন