দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে সড়কের পাশের শিশু গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। কর্তন হওয়া গাছগুলো জব্দ করা নির্দেশ দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মশিউর রহমান।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভাদুরিয়া থেকে ঘোড়াঘাট উপজেলার ডুগডুগি বাজার যাবার পথে রাস্তার দুই ধারে শিশু গাছগুলো কাটা হয়েছে। যা ২০ বছর পুর্বে উপকারভোগীর মাধ্যমে লাগানো হয়েছিল। এদিকে ঘোড়াঘাট উপজেলার রানীগঞ্জ বাজারে কাঠ ব্যবসায়ী মেসার্স সুরাইয়া ট্রেডার্সের মালিক শামসুল হক জানান, টেন্ডারের মাধ্যমে তিনি ওই সড়কের গাছ পান। এরপর কাটতে থাকেন। এদিকে ওই রাস্তার নবাবগঞ্জ উপজেলার লাটিরদাম এলাকায় থাকা গাছগুলো ২২ তারিখে তিনি টেন্ডার মুলে পেয়েছেন এমন দাবি করে তার শ্রমিক দ্বারা সকালে গাছগুলো কাটতে থাকেন।
ভাদুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য মো. হারুনুর রশিদ অভিযোগ করে জানান, নবাবগঞ্জ এলাকায় গাছগুলো কাটার অনুমতি নেই। তারা থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন। থানার উপ-পরিদর্শক জাহাঙ্গীর হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে গাছ কাটা বন্ধ করে কর্তন করা গাছগুলো জব্দ করে ভাদুরিয়া বাজারে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোকছেদ আলী ইউপি সদস্য হারুনুর রশিদ এর হেফাজতে রেখে দেন। ভাদুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. আসমান জামিল জানান, ঘোড়াঘাট উপজেলার পালশা ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশেই রাস্তার গাছগুলো কর্তন করে। তিনি আরো জানান, ২৪ তারিখে তাকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাছগুলি হেফাজতে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এলাকাবাসী জানায়, গাছ কাটা নিয়ে পাল্টাপল্টি অভিযোগ রয়েছে। তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মশিউর রহমান জানান, যে বা যারাই গাছ কাটার সাথে অভিযোগ পাওয়া যাবে সে যত বড় প্রভাবশালী হোক না কেন ছাড় পাবে না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন