কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় স্ত্রীর পরকীয়ার প্রতিবাদ করায় স্বামী সুমন (৩২) কে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় স্ত্রী তিশা আক্তার (২৬) কে আটক করে পুলিশ।
গতকাল মঙ্গলবার ভোর ৫ টায় নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়নের পৈয়াপাথর এলাকার খলিলুর রহমানের বাসায় এই ঘটনা ঘটে।
মৃত সুমন উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের মৃত মরম আলী ড্রাইভারের ছেলে।
আটক স্ত্রী তিশা আক্তার উপজেলার নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়নের পৈয়াপাথর গ্রামের মাহফুজ মিয়ার মেয়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সুমন তিশা পরিবহনের বাস চালক। এক মাস পূর্বে সুমন মুরাদনগর উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ পৈয়াপাথর এলাকার ব্যাবসায়ী খলিলুর রহমানের বাড়িতে বাসা ভাড়া নেয়। সুমনের অনুপস্থিতিতে ওই বাসায় বহিরাগত ছেলেদের আনাগোনা প্রায়ই দেখা যেত। এ নিয়ে প্রতিনিয়ত স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকত।
খবর পেয়ে মুরাদনগর থানা এস আই শওকতের নেতৃত্বে একদল পুলিশ গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে এবং স্ত্রী তিশাকে আটক করে।
নিহতের বোন পারভীন আক্তার বলেন, স্ত্রী তিশার পরকিয়ার জেরেই আমার ভাই সুমনকে হত্যা করা হয়েছে। সুমনকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে প্রচার করছে তিশা ও তার পরিবারের সদস্যরা। আমরা এই হত্যার সুষ্ঠু বিচারসহ খুনির ফাঁসি চাই।
এ বিষয়ে মুরাদনগর থানার ওসি একেএম মনজুর আলম বলেন, স্ত্রীর পরকীয়ার কারনে প্ররোচিত হয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রথামিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে। সুমনের ভাই ফারুক বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (কুমেকে) প্রেরন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর রহস্য নিশ্চিত হওয়া যাবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন