কুমিল্লার বরুড়ায় কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় পৌর কাউন্সিলরের ছেলেসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা দুইজনসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ মঙ্গলবার পর্যন্ত এজাহার নামীয় ৩ আসামিকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ধর্ষিত কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ওই কিশোরী গত শনিবার জেলার বরুড়ায় তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়ানোর উদ্দেশ্যে বের হন। ওইদিন সন্ধ্যায় বরুড়া উপজেলার শাকপুর ইউনিয়নের বেকী গ্রামে পৌঁছার পর মধ্য লক্ষ্মীপুর গ্রামের সুজন (২৫), পৌর এলাকার তলাগ্রামের আলম কাউন্সিলরের ছেলে রাসেল (২৫), পাঠানপাড়া গ্রামের মিনহাজ (২৮), শুড়িচো গ্রামের রঞ্জন বিশ্বাস (৩০) ওই কিশোরীকে জিম্মি করে একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যায়। পরে শাকপুর গ্রামের একটি নির্জন স্থানে নিয়ে প্রথমে রাসেল ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। এরপর তাকে অটোরিকশায় তুলে বিভিন্ন স্থানে ঘুরাঘুরির পর রাত ১০টার দিকে বরুড়া উপজেলা সদরের অফিস পাড়ায় এক হিজলার খালি বাসায় নেয়। পরে মিনহাজ ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। ঘটনাটি কাউকে না জানানোর জন্য ভয়ভীতি দেখিয়ে তারা ওই কিশোরীকে একটি সিএনজিতে তুলে জেলার আদর্শ সদর উপজেলার আড়াইওড়া গ্রামের বাড়ি পাঠিয়ে দেয়।
এ ঘটনায় কিশোরী বাদী হয়ে সোমবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে কাউন্সিলরের ছেলে রাসেলসহ চারজনকে এজাহার নামীয় ও অজ্ঞাতনামা আরও দুইজনসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে বরুড়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
বরুড়া থানার ওসি আজম উদ্দিন মাহমুদ জানান, মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত মামলার এজাহার নামীয় আসামিদের মধ্যে রাসেল, মিনহাজ ও সুজনকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। বিকালে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। মামলার অপর আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন