মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা
মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ রোববার রাতে উপজেলার দক্ষিণ সোনাখালী গ্রাম থেকে রেনু বেগম (৪০) দুই সন্তানের জননী লাশ উদ্ধার করেছে। রেনু বেগম উপজেলার দক্ষিণ সোনাখালী গ্রামের ইদ্রিস আলীর স্ত্রী ও উত্তর সোনাখালী গ্রামের কুদ্দুছ জমাদ্দারের মেয়ে। ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী ইদ্রিস আলী পলাতক রয়েছে। গতকাল সোমবার সকালে রেনু বেগমের লাশ উদ্ধার করে পিরোজপুর জেলা মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, রেনু বেগমের সাথে তার স্বামী ইদ্রিস আলীর দীর্ঘদিন ধরে দাম্পত্য কলহ চলে আসছিল। নিহতের পুত্রবধূ মোসাঃ সোনিয়া বেগম দাবী করেন, বিষপানে (চালের পোকা নিধন ট্যাবলেট) রেনু বেগম আত্মহত্যা করেছে। অপরদিকে নিহতের মামা শিক্ষক আলী হায়দার অভিযোগ করেন, দাম্পত্য কলহের জের ধরে প্রায়ই ইদ্রিস রেনু বেগমকে মারধর করত। মারধরের ঘটনা নিয়ে কয়েক দফা স্থানীয়ভাবে সালিশ বৈঠকও হয়। তিনি আরও জানান, রেনু গত একমাস ধরে মেয়ের জামাইর বাড়িতে থাকার পর গত শনিবার স্বামীর বাড়িতে আসার পর ঝগড়া ঝাটির এক পর্যায় স্বামী ইদ্রিস রোববার গৃহবধূকে দু’দফা মারধর করলে ওই নির্যাতনেই সে মারা যায়। গৃহবধূর শরীরে আঘাতের চিহ্ন আছে বলে তিনি দাবী করেন। এ ঘটনার পর ইদ্রিস আলী পলাতক রয়েছে। তবে ইদ্রিস মোবাইলে তার বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করেন। মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, লাশের ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে জানা যাবে হত্যা না আত্মহত্যা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন