লক্ষীপুরের রামগতির চর পোড়াগছা ইউনিয়নের স্থানীয় এলাকাবাসী ও অসংখ্য ভূমিহীন অসহায় পরিবারগুলোর স্বাভাবিক জীবন চিহ্নিত চাঁদাবাজদের জ্বালায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয়রা জানায়, মেঘনা নদীর ভয়াবহ ভাঙনে অসংখ্য ভূমিহীন পরিবার এ ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড নতুন বাজার এলাকায় বসতি স্থাপন করে। এখানে নতুন বাড়ি-ঘর নির্মাণে কিংবা পুরনো বাড়ি-ঘর সংস্কার করতে এবং যে কোন নির্মাণ কাজে দুই সন্ত্রাসীকে তারা চাঁদা দিতে হয়। অন্যথায় কাজ করতে বাঁধা দেয়া হয়। এ দুই চিহ্নিত কুখ্যাত চাঁদাবাজ হলো একই গ্রামের মৃত আবদুল মালেকের ছেলে আবদুল জলিল ও মৃত নজির আহাম্মদের ছেলে নান্নু মিয়া ওরপে নান্নু ডাকাত। চাঁদাবাজির শিকার স্থানীয় মোস্তফা কামালের ছেলে ছালাউদ্দিন গত শনিবার রামগতি থানায় ঐ দুই ব্যক্তিকে আসামী করে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন। মামালার এজাহারে উল্লেখ করেন, মৎস্য, গরু ও কৃষি খামার থেকে এই দুই চাঁদাবাজ ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। দিতে না পারায় তাদের নির্যাতনের শিকার হয়ে ভূক্তভোগী ছালাউদ্দিন থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
চাঁদাবাজির ভূক্তভোগী কারিতাস বাংলাদেশ পরিচালিত নারী তথ্য সেবা কেন্দ্রের পরিচালক সারুর স্ত্রী মূর্শিদা বেগম অভিযোগ করে বলেন, তার বাড়ি নির্মাণ থেকে শুরু করে গাছ লাগানো পর্যন্ত প্রতিটি পদক্ষেপে এই দুই চাঁদাাবাজকে চাঁদা দিতে হয়েছে। এ ছাড়াও স্থানীয় রহিমা, ছালেহা, কাশেম, নুরনবীসহ অনেকে বলেন, এ এলাকার লোকজন বাড়ি ঘর নির্মানে এবং বিভিন্ন সময়ে সময়ে তাদের চাঁদা দিতে হয়। এ বিষয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ এটিএম আরিচুল হক অভিযোগ দাখিলের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন