ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার ইউএনও আব্দুল কুদ্দুসকে গত বুধবার সকালে উপজেলা পরিষদ চত্ত¡রে শহীদ মিনারের সামনে প্রকাশ্যে নারীঘটিত ঘটনায় লাঞ্চিত করলেন তার স্ত্রী বরিশালের এডিসি আফরোজা পারুল। বোরহানউদ্দিনের বির্তকিত ইউএনও আব্দুল কুদ্দুস বোরহানউদ্দিনে যোগদানের পর থেকে একের পর এক ঘটনার জন্ম দিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করে।
এ ঘটনায় মিডিয়ায় তোলপাড় হয়। ইউএনও আব্দুল কুদ্দুস ২ বার প্রমোশন বদলী হলেও তদবির করে সে তার বদলী বাতিল করেন। সম্প্রতি তার স্ত্রী বরিশালের এডিসি আফরোজা পারুল গত সোমবার বোরহানউদ্দিনে আসেন। কিন্তু স্ত্রী পারুলকে কোন পাত্তাই দেননি স্বামী কুদ্দুস। সকালে ইউএনও কুদ্দুস মোবাইল রেখে বাইরে গেলে স্ত্রী মোবাইলে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার সাথে স্বামীর কিছু আপত্তিকর ছবি দেখতে পেয়ে চটে যান। এ সময় ইউএনও অফিসে ছিলেন। স্ত্রী ক্ষিপ্ত হয়ে বাসা থেকে বের হয়ে অফিসের দিকে যাওয়ার পথে শহীদ মিনারের সামনে দেখা হয় স্বামীর। গাড়ি থামিয়ে গাড়ি থেকে নামতে বললে ইউএনও গাড়ি থেকে না নামলে উভয় তর্কে জড়িয়ে পরে। ইউএনও আব্দুল কুদ্দুস স্ত্রী এডিসি পারুলকে মারতে উদ্যত হলে স্ত্রী তার স্বামীর জামার কলার ধরে গাড়ি থেকে নামিয়ে ফেলে। তখন উভয়ের মধ্যে হাতাহাতি ও ধস্তাধস্তি হয়।
প্রকাশ্যে স্ত্রীকে মাটিতে ফেলে মারধর করে ইউএনও কুদ্দুছ। উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সঙ্গীয় লোক নিয়ে উভয়কে গাড়িতে উঠিয়ে বাসভবনে যাওয়ার পর ইউএনও তার স্ত্রীকে বেদম মারপিট করে। এতে স্ত্রী অজ্ঞান হয়ে পড়ে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় ইতোমধ্যে বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসকসহ প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা অবগত হয়েছেন।
জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম ছিদ্দিক জানান, তিনি রিলিজ হয়েছেন। ইউএনও কুদ্দুস সেদিনই স্থান ত্যাগ করে চলে যান। স্থানীয় অনেকে জানান, এডিসি পারুল তার দ্বিতীয় স্ত্রী। এরপূর্বেও আরেকটি বিয়ে করেছেন বলে জানা যায়। এ ছাড়াও তিনি অর্থনৈতিক অনেক অনিয়ম করেছেন। বিভিন্ন উন্নয়নমুলক কাজ তিনি নিজেই করতেন। সেখান থেকেও তিনি অনেক অর্থ লোপাট করেছেন বলে জানান বিভিন্ন মাধ্যম।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন