শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

ওদের কাজ বেশি, মজুরি আধা

বিশ্ব নারী দিবস

চান্দিনা (কুমিল্লা) উপজেলা সংবাদদাতা: | প্রকাশের সময় : ৮ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৯ এএম

কাকডাকা ভোরেই মরিচা পোড়া পান্তাভাত খেয়ে নিত্যদিন কাজের সন্ধানে ছুটতে হয় ওদের। ক্লান্তিহীন রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে রুটি-রুজির পথ বেছে নিতে হয়েছে কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার অসংখ্য নারী শ্রমিককে। এসব মহিলা শ্রমিক একজন পুরুষ শ্রমিকের মতোই দিনভর হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে। কিন্তু মজুরির ক্ষেত্রে তারা বৈষ্যমের শিকার হয়। কোন কোন ক্ষেত্রে মজুরি অর্ধেক বা তারও কম দেয়া হয়। প্রতিনিয়ত নারী শ্রমিকদের ঠকানো হলেও কেউ তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়ে ন্যায্য পাওনা আদায়ের ব্যাপারে সোচ্চার ভূমিকা রাখছে না। ফলে বরাবরই এসেব নারী শ্রমিক ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

শ্রমিক হিসেবে মহিলাদের কদর বেশি কুমিল্লায়। কারণ পুরুষ শ্রমিকের চেয়ে একদিকে যেমন মহিলা শ্রমিকদের মজুরী কম, অপরদিকে তাদের কাজে কোন ফাঁকিঝুঁকি নেই। এসব মহিলা শ্রমিক ইট ভাঙা, মাটিকাটা, ধান সিন্ধ ও শুকানো কাজ বিভিন্ন বাসাবাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ করে দিনমজুর স্বামীকে সহযোগীতা করা ছাড়াও কোন কোন ক্ষেত্রে পুরো পরিবারের ভরণপোষণ চালিয়ে আসছেন। বর্তমানে জেলার বিভিন্ন এলাকায় রাস্তা মেরামতের কাজে অংশগ্রহণ লক্ষ্য করা যায়। দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এসব নারী শ্রমিক উল্লেখযোগ্য অবদান রাখলেও তারা কাজ শেষে মজুরি পায় পুরুষ শ্রমিকদের তুলনায় অনেক কম।

মজুরি কেন কম এ ব্যাপারেও নেই তাদের কোন ক্ষোভ বা অভিযোগ। পুরুষ শ্রমিকের মতো সকাল থেকে হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে কম মজুরি পেলেও তারা সন্তুষ্টচিত্তে ফিরে যায় বাড়ি। জড়িনা বেগম, মরিয়ম নেছা, হাসনাহেনা বেগম, জেসমিন আক্তার, আমেনা বেগম কম মজুরি পেলেও পেটের তাগিদে তাদের গতরে খাততে হয়। এদের অনেকেরই স্বামী থাকলেও অসচ্ছল পরিবার। আবার কেউ অল্প বয়সেই বিধবা কিংবা স্বামী পরিত্যক্তা হয়েছে। এদের একজন মরিয়ম নেছা জানান, সারাদিন পরিশ্রম করে মজুরি পায় ৯০ টাকা। একদিন কাজে না গেলে স্বামী নির্যাতন চালায় খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দেয়। রোগে দুঃখে কাতর এসব মহিলা শ্রমিক এরপরেও প্রতিনিয়ত পরিশ্রম করে জীবিকা নির্বাহ করে চলছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন