রাউফুর রহমান পরাগ, আশুলিয়া থেকে
আশুলিয়ার জিরানী এলাকায় বাংলাদেশ কোরিয়া মৈত্রী হাসপাতালে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। হাসপাতালটিতে সেবার পরিবর্তে ধোঁকার শিকার হচ্ছে রোগীরা। ভুক্তভোগীরা জানায়, বাংলাদেশ কোরিয়া মৈত্রী হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা বাণিজ্যিক হয়ে পড়েছে। শুধুমাত্র জরুরি বিভাগ ছাড়া অন্য কোন বিভাগে ডাক্তার থাকেন না। তারা বিভিন্ন ক্লিনিকে রোগী দেখে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। ফলে সাধারণ রোগীরা শিকার হচ্ছে চরম ভোগান্তির। অনুসন্ধানে জানা গেছে, শিল্প এলাকা আশুলিয়া জিরানী এলাকায় প্রায় তিন লক্ষাধিক লোকের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকল্পে একমাত্র সরকারী হাসপাতাল কোরিয়া মৈত্রী। মহিলা শ্রমিকরা এ হাসপাতালে ৫ টাকা টিকিটের বিনিময়ে ডাক্তারের পরামর্শ ও ওষুধ পেয়ে থকেন। ৩০ শয্যাবিশিষ্ট এ হাসপাতাটি এলাকার দুস্থদের একমাত্র চিকিৎসা কেন্দ্র। এখন চলছে খেয়াল খুশি মত। সিএমও হাসপাতালে খুব কম আসেন বলে ভুক্তভোগীরা জানায়। রোগীদের সেবা না দিয়ে টাকা উপার্জন এখন মুখ্য বিষয় হয়ে পড়েছে। গাইনী ডাক্তারের পরিবর্তে উপ-সহকরী (সেকমো ) ও ওয়ার্ডবয় দিয়ে সেবা দেয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে ভক্তি কর্মকার ও শিউলি আক্তারের নাম উল্লেখ যোগ্য। পাশেই মুজার মিল এলাকায় রয়েছে শিউলির নিজস্ব ক্লিনিক ও পোষ্য দালাল । যারা এ হাসপাতালে আসা রোগীদের বিভিন্ন হাসপাতালে ও ক্লিনিকে পাঠিয়ে দেন। ভক্তি কর্মকার ও শিউলি আক্তার কোরিয়া মৈত্রী হাসপাতালে ৮ বছর ধরে একই হাসপাতালে কর্মরত রয়েছে। প্রতি তিন বছর পর বদলির নিয়ম থাকলে ও তাদের বদলী হয় না। শিউলি আক্তাকে ধামরাই রোয়াইল ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও ভক্তি কর্মকারকে ধামরাই কুল্লা ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ৪ মে ঢাকা বিভাগের পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডাক্তার মোঃ শাহ আলম বদলির আদেশ দেন সে মর্মে কোরিয়া মৈত্রী হাসপাতালের চিফ মেডিকেল অফিসার ১০ মে তাদের ছাড়পত্র প্রদানের পরেও কর্মস্থলে যোগদান না করে তদবিরের বদৌলতে যথাস্থানে বহাল রয়েছে। এ ব্যাপরে জানতে চাইলে বাংলাদেশ কোরিয়া মৈত্রী হাসপাতালের চিফ মেডিকেল অফিসার ডাঃ সুলতানা হাসিনা রাশেদ জানান, বদলির আদেশ পেয়ে তাদের ছাড়পত্র প্রদান করা হয়েছে। তারা উপর মহলে তদবির করে বদলির আদেশ বাতিলের চেষ্টা করছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন