শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

কে এই নুর?

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১২ মার্চ, ২০১৯, ১১:২৫ এএম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে নির্বাচিত হয়েছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’ প্যানেলের নুরুল হক নুর।

কিছু দিন আগেও ক্যাম্পাসে তেমন কোনো পরিচিতি ছিল না এই নুরের। ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র নুর আলোচনায় আসেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের মাধ্যমে।

এই আন্দোলন তাকে দেশব্যাপী ব্যাপক পরিচিতি এনে দেয়। কোটা আন্দোলনে সংগঠনের নাম দেয়া হয় ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’। আন্দোলনে নেতৃত্বের কারণে এ সংগঠনের আহ্বায়ক করা হয় নুরকে।

কোটা সংস্কার আন্দোলন করতে গিয়ে হামলা, মামলা ও কারাবরণের মুখোমুখি হন পটুয়াখালীর এই নুর। এমনকি ডাকসু নির্বাচন চলাকালে নির্বাচনে অনিয়মের প্রতিবাদ করতে গিয়েও ছাত্রলীগের নারী প্রার্থীদের দ্বারা মারধরের শিকার হয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। তারপরও তাকে দমিয়ে রাখা যায়নি। শেষ পর্যন্ত সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভোট দিয়ে তাকেই নেতা নির্বাচিত করেছেন।

ডাকসু নির্বাচনে তার প্রাপ্ত ভোট ছিল ১১ হাজার ৬২টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন পান ৯ হাজার ১২৯ ভোট।

দীর্ঘ ২৮ বছর পর অনুষ্ঠিত হলো ডাকসু নির্বাচন। সোমবার (১১ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে ডাকসু নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হয়।

নুরুল হক সোমবার দুপুরে নিজ ক্যাম্পাসে ‘হামলার শিকার’ হয়ে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

নুরুল হক তার ভিপি নির্বাচিত হওয়া ও ডাকসু নির্বাচন প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এ রকম নির্বাচন আমাদের কারোরই প্রত্যাশা ছিল না। ২৮ বছর পর এই নির্বাচন হয়েছে। সারা দেশের মানুষ তাকিয়ে ছিল। জাতীয় নির্বাচনের পর নির্বাচনী ব্যবস্থার ওপর মানুষের যে অনাস্থার সৃষ্টি হয়েছে-আমরা ভেবেছিলাম সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে সেখানে আশার আলোর সঞ্চার করা হবে। কিন্তু প্রশাসনের সহায়তায় ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন যে কারচুপি করেছে তা শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নয় পুরো দেশকে হতাশ করেছে। আমরা মনে করি, ১১ মার্চের নির্বাচন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (8)
Ma. Tarequl islam ১২ মার্চ, ২০১৯, ৪:৩৯ পিএম says : 1
If you can pross my application thanks.
Total Reply(0)
munni ১২ মার্চ, ২০১৯, ৬:৩১ পিএম says : 1
brave and good
Total Reply(0)
Sumon ১২ মার্চ, ২০১৯, ৯:১৪ পিএম says : 1
ছাত্রলীগ যে সন্ত্রাসীদল,এর চেয়ে বড় প্রমান আর লাগে কি?
Total Reply(0)
Naeem ১৩ মার্চ, ২০১৯, ৪:১৪ এএম says : 1
দেশের যা পরিস্তিথি তাতে ১৯৭১ সাল কেও হার মানিয়ে দিচ্ছে ছাত্রলীগ
Total Reply(0)
Jakir ১৩ মার্চ, ২০১৯, ১১:২৮ এএম says : 1
vote is our right but we can't apply it proper way, why? a question of today.
Total Reply(0)
tapan das ১৩ মার্চ, ২০১৯, ১০:০০ পিএম says : 1
ডাকসু নিরবাচনটা সাধারন নিরবাচনে ন্যায় হওয়ার দরকার ছিলনা। এরা আমাদের সনতান চুরিচামারি এইভাবে না হলে ও চলত।এমনিতে বাংলাদশের মানুষ নিরবাচনকে ঘৃনা করতে শুরু করেছে কারন সবাই জানে।উপজেলা নিরবাচন তার প্রমান দিতে শুরু করেছে।আওয়ামিলিগের সরকার গঠন খুব দরকার ছিল না হয় .....র দল খমতায় আসলে দেশের খতি হতো কিনতু তাই বলে নতুন প্রজনমকে প্রশনবিদদ করা ভুল হয়েছে।
Total Reply(0)
Zakir Hossain Himel ১৫ মার্চ, ২০১৯, ৭:২৬ পিএম says : 0
আল্লাহ্পাক আমাদের সবাইকে সহি বুজ দেন দান করুন .....
Total Reply(0)
Asik ১৯ মার্চ, ২০১৯, ৩:৪০ এএম says : 0
ata theik noy
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন