ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে ডাকসুর পুনঃনির্বাচনের দাবিতে অনশনে বসেছেন ৫জন শিক্ষার্থী, তাদের অধিকাংশই বিভিন্ন হলে স্বতন্ত্র পদ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। অন্যদিকে ভোট বাতিলের পাশাপাশি প্রভোস্টের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেছে রোকেয়া হলের শিক্ষার্থীরা। রোকেয়া পরিষদ নামে স্বতন্ত্র একটি প্যানেলের নেতৃত্বে রাত ১১ টার দিকে তারা হলে বিক্ষোভ শুরু করেন।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬ টায় সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনশন শুরু করেন চার শিক্ষার্থী, পরে যোগ দেন আরও একজন সকাল গড়াতে গড়াতে অনশনকারীর সংখ্যা বাড়বে বলে জানিয়েছেন তারা। অনশনে বসা শিক্ষার্থীরা হলেন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের তাওহীদ তানজিম, দর্শন বিভাগের বিভাগের তৃতীয় বর্ষের অনিন্দ্য মণ্ডল, পপুলেশন সায়েন্সের দ্বিতীয় বর্ষের মঈন উদ্দীন, পদার্থবিজ্ঞানের দ্বিতীয় বর্ষের শোয়েব মাহমুদ এবং ভুগোল ও পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রনি হোসেন। অনশনকারীরা দাবি না মানা পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন।
অন্যদিকে রোকেয়া পরিষদের নেতৃত্বে রোকেয়া হলের প্রভোস্ট এর পদত্যাগের দাবি ও পুনঃনির্বাচনের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে ছাত্রীরা। এসময় ছাত্রলীগ ব্যতীত অন্য সব প্যানেলের প্রার্থীরা এতে যোগ দেন। হলটিতে গত সোমবার ডাকসু নির্বাচনের সময় আলাদা কক্ষে তিনটি ব্যালট বাক্স রাখা হলে তা নিয়ে এসে ভেঙে পেলে শিক্ষার্থীরা। এসময় দীর্ঘক্ষণ ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকলেও বেলা ২ টায় পুনরায় ভোট গ্রহণ শুরু হয় যাতে ছাত্রলীগ প্যানেল জয়লাভ করে। তবে শিক্ষার্থীদের দাবি একবার অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা সংগঠিত হওয়ার পর দ্বিতীয় দফায় শিক্ষার্থীরা ভোট দিতে যায়নি। ফলে সহজ জয় পেয়েছে ছাত্রলীগের প্রার্থীরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন