শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

প্রভাবশালী ও দালাল চক্র হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা

বিশ্বনাথে ঝুঁকিপূর্ণ লাইন দিয়ে বিদ্যুৎ বাণিজ্য

প্রকাশের সময় : ১৯ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বিশ্বনাথ (সিলেট) উপজেলা সংবাদদাতা
সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা সদরের নতুনবাজারে ঝুলন্ত অবস্থায় ঝুঁকিপূর্ণ লাইনে চলছে রমরমা অবৈধ বিদ্যুৎ ব্যবসা। একটি মাত্র মিটার থেকে প্রতিরাতে জ্বলছে প্রায় ২ থেকে আড়াইশ বাল্ব। স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্র বিদ্যুৎ অফিসের কতিপয় দালালদের ঘুষ দিয়ে দীর্ঘদিন থেকে চালিয়ে যাচ্ছে অবৈধ এ ব্যবসা। এভাবে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ অপচয়ের কারণে প্রতিদিন উপজেলা সদরসহ পল্লী এলাকার হাজার হাজার গ্রাহক লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণা পোহাচ্ছেন। ফুটপাতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা দিনে প্রতিটি বাল্বের জন্য ১০থেকে ১৫টাকা করে দিতে হয়। এতে অসাধু ওই বিদ্যুৎ ব্যবসায়ী চক্রটি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রতি মাসে হাতিয়ে নিচ্ছে প্রায় লক্ষাধিক টাকা। একটি জনবহুল বাজারে এভাবে ঝুঁকিপূর্ণ লাইন দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করায় অসাবধানতার কারণে যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। কয়েকমাস পূর্বে এমন ঝুলন্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবসায়ীক লাইনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বিশ্বনাথ পুরানবাজারস্থ গরু হাটায় এক শিশু গুরুতর আহত হলে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। রহস্যজনক কারণে টনক নড়েনি পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের। উল্টো ঝুঁকিপূর্ণ ও ঝুলন্ত লাইনের ওপর সম্প্রতি নতুনবাজারস্থ কাঁচাবাজার এলাকায় পুড়ে যাওয়া একটি মিটার বণিক সমিতির আপত্তিকে উপেক্ষা করে পুনরায় স্থাপন করা হয়। এতে বণিক সমিতির নেতৃবৃন্দের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এ ঘটনায় বণিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি শামীম আহমদ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সিলেটের পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের জিএম বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। জানা যায়, উপজেলার জানাইয়ার গ্রামের ছোরাব আলী ও তার সহযোগীরা দীর্ঘ প্রায় ২০বছর ধরে মিটার স্থাপন করে এ অবৈধ ব্যবসা করে আসছে। যার হিসাব নং-৮৬৪/৩৭৯৫। অভিযোগ রয়েছে, ছোরাব আলী লীজ ছাড়া সরকারি জায়গায় মিটার স্থাপন করে ওই মিটার থেকে অবৈধভাবে ঝুঁকিপূর্ণ লাইন সরবরাহ করে আসছেন। গত ১০-১২দিন পূর্বে ওই মিটারটি পুড়ে গেলে সে মিটারের জন্য বিশ্বনাথ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে আবেদন করে। খবর পেয়ে বাজারের বণিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি শামীম আহমদ ওই মিটার দিতে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে আপত্তি করেন। তিনি বাজারের ব্যবসায়ীদের বিচ্ছিন্ন ও ঝুঁকিপূর্ণ লাইন ক্যাবলের ভেতরে ঢুকিয়ে নিরাপদে মিটার সংযোগ দিতে অনুরোধ করেন। বিষয়টি আমলে না নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ লাইন বিশ্বনাথ পল্লী বিদ্যুৎ অফিস নতুন মিটার স্থাপন করে। এ বিষয়ে কথা হলে, ডিজিএম অমলেশ কুমার বর্মণ সংযোগটি বৈধ দাবি করে বলেন, পিডিপি’র সময়ে এ মিটার স্থাপন করা হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন