রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

সিরাজদিখানে ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি ব্রিজ

সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ)উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৭ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

সিরাজদিখান উপজেলার রাজদিয়া-কুচিয়ামোড়া সড়কে ইছামতি নদীর উপর নির্মিত বেইলি ব্রিজের রেলিং দিন দিন উধাও হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া বেইলি ব্রিজের দুই প্রান্তের এপ্রোচ সড়কে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় বেইলি ব্রিজটি জনসাধারন ও যানবাহন চলাচলে ঝুকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বেইলি ব্রিজের একপ্রান্তে রাজদিয়া গ্রাম ও অপর প্রান্তে চরকমলাপুর গ্রাম। রাজদিয়া, চরকমলাপুর গ্রাম ছাড়াও ব্রিজটির ওপর দিয়ে উপজেলার লতব্দী, বালুচর, বাসাইল, কেয়াইন ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে থাকে।

এদিকে, ঝুঁকিপূর্ণ এই বেইলি ব্রিজের ওপর দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে যানবাহনের চালক ও যাত্রী সাধারণকে আতংকের মধ্যে থাকতে হচ্ছে। বেইলি ব্রিজের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রেলিং উধাও হয়ে যাওয়ায় যানবাহন ও জনসাধারনের যাতায়াতে এই আতংকের সৃষ্টি হয়েছে। তার উপর বেইলি ব্রিজের দুই প্রান্তের এপ্রোচ সড়কে সৃষ্টি হয়ে ছোট-বড় অসংখ্য গতের্র সৃষ্টি হয়েছে। তাই বড় ধরনের দুর্ঘটনা এরাতে চালকদের সাবধানতা অবলম্বন করতে হচ্ছে।
বিশেষ করে বেইলি ব্রিজের উপর দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ, মাদরাসার শিক্ষার্থীদের। আতংকের মধ্য দিয়েই বেইলি ব্রিজ পারাপার হতে হচ্ছে তাদের।
উপজেলার চরকমলাপুর গ্রামের কুদ্দুছ বেপারী (৬০) জানান, গেল কয়েক বছর ধরেই রাতের অন্ধকারে বেইলি ব্রিজের রেলিং উধাও হয়ে যাচ্ছে। দিন দিন রেলিং উধাও হওয়ায় যানবাহন ও চলাচলের ক্ষেত্রে ঝ্্ুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে বেইলি ব্রিজটি। বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ ও শিক্ষার্থীদের আতংকের মধ্যে বেইলি ব্রিজ পারাপার হতে হয়। তবে কে বা কারা বেইলি ব্রিজের রেলিং উধাও হওয়ার সঙ্গে জড়িত-তা কখনোই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ খতিয়ে দেখেনি। তাছাড়া গ্রামবাসীরও জানা নেই ব্রিজের রেলিং কোথায় যাচ্ছে।
উপজেলার রাজদিয়া অভয় পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মারিয়া ও আখি জানান, আমরাসহ প্রতিদিন শত শত শিক্ষার্থী এই বেইলি ব্রিজের উপর দিয়ে পায়ে হেটে যাতায়াত করে থাকে। নদীর দুই তীর থেকে বেশ উচ্চতা সম্পন্ন বেইলি ব্রিজের বিভিন্ন স্থানে রেলিং না থাকায় ঝুকিনিয়ে চলতে হচ্ছে।
উপজেলা প্রকৌশলী শোয়েব বিন আজাদ বলেন, ব্রিজটিতে রেলিং দিলে থাকবে তো ? আমি এক বছর ধরে আসছি। আমি নিজেও দেখেছি রেলিং গুলো এলাকার মানুষ চুরি করে নিয়ে যায়। কোন ব্রিজের রেলিং চুরি হয় না। এখানের রেলিং গুলো চুরি হয়ে যাচ্ছে। তার পরেও আমি রেলিং এর বিষয়ে আবেদন করব। এটা পাস হয়ে আসলেই দিয়ে দিব। তিনি আরো বলেন, গর্ত পূরনে এলজিআরডি থেকে এখন কোন বরাদ্ধ নেই।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
ash ১৭ মার্চ, ২০১৯, ৩:৪৬ এএম says : 0
AI HOCHE BANGLADESHER HAJAR KHUTHI TAKA KHOROCH KORE RASTA TOIRIR NOMUNA !!! EVABE KI BANGLADESHER WNNOON SHOMVOB ?? KE JENO BOLECHILO BANGLADESH TA HOCHE FUTA JURI !! KHARAP KI BOLECHILO?? OTATE AMADER GA ATO JALA KORE KENO?? AI TO TAR NOMUNA
Total Reply(0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন