সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার আইলা বিধ্বস্ত দ্বীপ ইউনিয়ন পদ্মপুকুরে খোলপেটুয়া ও কপোতাক্ষ নদীর বেড়িবাধে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। আসন্ন বর্ষা মৌসুমের আগেই সংস্কার করা সম্ভব না হলে জরাজীর্ণ বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হতে পারে গোটা ইউনিয়ন। এতে ভাঙন আতংকে দিন কাটাচ্ছে মানুষ।
জানা গেছে, খোলপেটুয়া ও কপোতাক্ষ নদী বেষ্টিত উপক‚লীয় দ্বীপ ইউনিয়ন পদ্মপুকুর। ৩৪ বর্গকিলোমিটার আয়তনের পদ্মপুকুর ইউনিয়নে প্রায় ৩৫ হাজার মানুষের বসবাস। প্রলয়ংকারী জলোচ্ছ্বাস আইলায় লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়া পদ্মপুকুর ইউনিয়নের মানুষ ঘুরে দাড়ানোর প্রচেষ্টায় অবিরাম সংগ্রামে লিপ্ত। কিন্তু এই পথে বড় বাঁধা জরাজীর্ণ বেড়িবাঁধ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, পদ্মপুকুর ইউনিয়নের খুটিকাটা, পশ্চিম পাতাখালি, কামালকাটি ও বন্যতলায় খোলপেটুয়া ও কপোতাক্ষ নদীর বেড়িবাধে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। যে কোন সময় বেড়িবাঁধ ধসে নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশংকায় আতংকে দিন কাটাচ্ছে মানুষ। দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে জীর্ণশীর্ণ হয়ে পড়া বেড়িবাঁধ সংস্কারের বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বারবার অবহিত করেও প্রতিকার পায়নি এলাকাবাসী। এতে জনজীবন মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে।
এলাকাবাসীর আশংকা, বেড়িবাঁধ ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হলে সরকারের কোটি কোটি টাকার উন্নয়ন কর্মকান্ড ম্লান হয়ে যাবে। বিপর্যস্ত হবে প্রাণ-প্রকৃতি।
স্থানীয় কামালকাটি যুব সংঘের সভাপতি উত্তম মন্ডল জানান, খুটিকাটা, পশ্চিম পাতাখালি, কামালকাটি ও বন্যতলায় বেড়িবাঁধ ভেঙে কোথাও দুই হাত কোথাও তিন হাত অবশিষ্ট আছে। জরাজীর্ণ এই বাঁধ যে কোন সময় ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে। এতে জনজীবনে মারাত্মক বিপর্যয় নেমে আসবে। স্থানীয় উন্নয়ন কর্মী মফিজুর রহমান জানান, সরকারি-বেসরকারি ও স্থানীয় উদ্যোগে পদ্মপুকুরে কোটি কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ হয়েছে। একবার বাঁধ ভেঙে গেলে সব উন্নয়ন কর্মকান্ড ম্লান হয়ে যাবে। তলিয়ে যাবে সবকিছু।
স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য আশরাফ আলী জানান, ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ সংস্কারের জন্য বার বার ওয়াপদাকে বলা হয়েছে। তারা না ভাঙা পর্যন্ত কর্ণপাত করে না।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল খায়ের জানান, খুব দ্রুত জাইকা বেড়িবাঁধ সংস্কারে একটি বড় ফান্ড দেবে। ফান্ড পেলে বেড়িবাঁধ রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন