বীরগঞ্জে গত ১৭ মার্চ থানার ওসি সাকিলা পারভীনসহ ৫ ওসি প্রত্যাহার ও নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
ইসির যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘অনিয়ম ও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া থানার ওসিকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন ইসি।’ এছাড়া দিনাজপুরের বীরগঞ্জ থানার ওসি সাকিলা পারভীনসহ বগুড়ার শিবগঞ্জ, নওগাঁর মান্দা ও বান্দরবানের আলীকদম থানার ওসিকে নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
গতকাল ১৮ মার্চ ২য় পর্যায়ের উপজেলা নির্বাচনের একদিন আগে পুলিশের একজন ওসিকে প্রত্যাহার এবং চারজনকে ভোটের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়ার নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন। তাদের পরিবর্তে সংশ্লিষ্ট জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্বাচনী দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বলে জানান ইসির যুগ্ম সচিব। বীরগঞ্জ থানার নির্বাচনী দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বীরগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালাহ উদ্দিনকে।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আ.লীগের নৌকার মনোনিত উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সাবেক এমপি মো. আমিনুল ইসলাম জানান, ওসি সাকিলা পারভীন তার বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে নির্বাচনী কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি ও ভোটারদের ভয়-ভীতি প্রদর্শন করছে। গভীর রাতে কর্মি ও ভোটারদের বাড়ি বাড়ি পুলিশী হামলা চালিয়ে নৌকা প্রতীকের কর্মিদের অভিযোগ ছাড়াই গ্রেফতার ও নির্যাতন করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের মনোনিত নৌকা প্রতীকের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে নৌকা প্রেমিদের গ্রেফতার করে রাতভোর হাজতে আটকিয়ে অমানবিক নির্যাতন করার প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন ও লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন বীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি সাকিলা পারভীনসহ অন্যদেরকে নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছে।
এছাড়াও ওসি সাকিলা পারভীনের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচার করার কারনে পুলিশের সোর্সদের দ্বারা ৬/৭জন প্রথম সারির সাংবাদিকের বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যা অভিযোগ নিয়ে হয়রানী ও মামলা করার হুমকি দিয়ে কন্ঠরোধ করার চেষ্টা অব্যাত রেখেছে।
উল্লিখিত ঘটনা ছাড়াও ওসি সাকিলা পারভীনের আচরণে পুলিশের সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম, সেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতির অভিযোগের নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছে বিভিন্ন এলাকার ভুক্তভোগি মানুষ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন