বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

ফুলবাড়ীতে রেলওয়ে ভবন পরিত্যক্ত অপরাধীরা বসায় মাদকের আসর চুরি হয় মূল্যবান সম্পদ

প্রকাশের সময় : ২০ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মো. আবু শহীদ, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) থেকে
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনের পরিত্যক্ত ভবনগুলো এখন অপরাধীদের আড্ডাখানায় পরিণত হয়েছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আসর বসে মাদকের। আর এখান থেকেই ঘটছে চুরি ছিনতাই এবং ওই মাদকসেবীদের দ্বারা চুরি হয়ে যাচ্ছে পরিত্যক্ত ভবনের মূল্যবান লোহা, রড, টিন ও ইট। এক সময় রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বসবাসের জন্য নির্মিত এই ভবনগুলো ১০/১৫ বছর আগেই বসবাসের অযোগ্য হওয়ায় রেলওয়ে প্রকৌশলী বিভাগ এই ভবনগুলোতে পরিত্যক্ত ভবন হিসেবে ঘোষণা করে। যার ফলে এখন সেখানে কোন ব্যক্তি বসবাস না করায় এই পরিত্যক্ত ভবনগুলোতে আড্ডা জমিয়েছে এলাকার চিহ্নিত দুঃস্কৃতিকারী ও মাদকসেবীরা। সেখানে মাদকের আড্ডা, জুয়ার আড্ডা ও অপরাধীদের আড্ডায় পরিণত হয়েছে। এই আড্ডাকারী মাদকসেবীরা তাদের মাদক সেবনের খরচ জোগাতে চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে রেলওয়ে ভবনের মূল্যবান টিন, লোহা, রড ও ঘরের ইট পর্যন্ত। ইতোমধ্যেই তাদের হাতে শেষ হয়ে গেছে রেলের কয়েকটি ভবন। রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, রেলওয়ে স্টেশনের সন্নিকটে একটি পরিত্যক্ত ভবন এখনও দাঁড়িয়ে আছে। পাশের ভবনটি লোহা, টিন সবই চুরি হয়ে গেছে। একই অবস্থা রেলওয়ে স্টেশনের পূর্ব পার্শ্বে খালাসীভবনগুলোর। সেখানেও রেলের মোটা মোটা টিনগুলো কয়েকটি চুরি হয়ে গেছে। বাকি টিনগুলোও চুরি হওয়ার উপক্রম। এছাড়া মালামাল বহনের ৪নং লাইনের ধারে যে গোডাউনটি ছিল তার চিহ্ন পর্যন্ত নেই। সবই গেছে মাদকসেবীদের হাতে হাতে। এলাকাবাসীরা জানায়, মাদকসেবীরা রাত হলেই রেলওয়ের ঘরের ছাউনির টিনগুলো খুলে নিয়ে গিয়ে ভাংড়ির দোকানে বিক্রি করছে। এমনকি ঘরের ইটগুলো পর্যন্ত খুলে নিয়ে গিয়ে তারা কোন না কোন ঠিকাদারের কাছে বিক্রি করছে। এভাবেই হারিয়ে যাচ্ছে রেলের মহামূল্যবান সম্পদ। ফুলবাড়ী রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার রবিউল ইসলাম বলেন, রেলওয়ের আইন শৃঙ্খলা দেখভাল করে রেলওয়ে পুলিশ। কিন্তু রেলওয়ে পুলিশ স্টেশন ফুলবাড়ীতে না থাকায় পার্বতীপুর থেকে এসে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দিতে পারে না। যার ফলেই চুরি হয়ে যাচ্ছে, রেলের পরিত্যক্ত ভবনের রড ও টিনগুলো। রেলওয়ে প্রকৌশলী অধিদপ্তরের (আই ডাব্লু) সহকারী প্রকৌশলী তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ভবনগুলো অনেক আগেই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এখন ওই ভবনগুলো নিলামে বিক্রির জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। কর্তৃপক্ষ অনুমতি দিলেই এগুলো নিলামে বিক্রি করা হবে। এদিকে রেলওয়ে ভবনগুলোতে অপরাধীদের অভয়ারণ্য হওয়ায় প্রতিদিনই ঘটছে রেলওয়ে যাত্রীদের মালামাল চুরি ছিনতাই এর ঘটনা। এজন্য রেলওয়ে স্টেশনের বাসিন্দা ও রেলওয়ের যাত্রীরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন