লক্ষীপুরের কমলনগরে বিএডিসির খাল খননের নামে বসতঘর উচ্ছেদ করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের তোপে পড়ে কাজ বন্ধ করে দেয় সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অগ্রী কন্সট্রাক্টশন। এতে স্থানীয় সাধারণ মানুষের মাঝে চাপাক্ষোভ বিরাজ করছে।
ক্ষতিগ্রস্ত মোশারফ হোসেন রাছেল জানান, উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নে ৭নং ওয়ার্ডে তুলাতুলি খালে ভেকু মেশিনের সাহায্যে তিন কিলোমিটার খনন কাজ শুরু করে অগ্রী কন্সট্রাকশন নামে এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এসময় ভেকু মেশিন দিয়ে ফয়জুরি ও ফাতেমা বেগমের দুটি বসতঘর বিনষ্ট করে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত মো. বাহার, সেলিম মেস্তরী, মো.ছায়ফুল, রেখা বেগম, আয়েশা বেগম, মনছুর আহাম্মদ ও তোতামিয়াসহ অসংখ্য ভুক্তভোগী একই অভিযোগ করেন।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, স্থানীয় ইউপি মেম্বার সেলিম ও আবদুল বাতেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান থেকে মোটা অংকের সুবিধা নিয়ে খালের দু’পাশে বসবাসকারী গরীব নিরীহ মানুষের সীমানার বাহিরে থাকা গাছাপালা কেটে নেওয়ার জন্য জোর বাধ্য করেন। এছাড়া বিএডিসির কাজের নিয়ম বহির্ভূতভাবে খাল খনন করার সময় ভেকু মেশিন দ্বারা তাদের গাছপালাসহ ঘরবাড়ি গুঁড়িয়ে দেয়। এতে খালের দু’পাড়ের লোকের প্রায় বিশ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তারা।
ফয়জুরি বেগম নামে এক বিধবা নারী ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, তুলাতুলি খাল পাড়ে আমি আমার ছোট বসতঘর বাস করি। আমার বসতঘরটি খাল কাটা মেশিন দিয়ে গুঁড়িয়ে উপচে অন্যত্রে ফেলে দেয় তারা। তাদের হাত-পা ধরেও আমার থাকার ঘরটুকু রক্ষা করা সম্ভব হয় নাই।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অগ্রী কন্সট্রাকশনের দায়িত্বে থাকা ইহছানুল হক দিমান জানান, হাজিরহাট ইউনিয়নে তুলাতুলি খাল খনন কাজ করার সময় স্থানীয় লোকজনের চাপে কাজ বন্ধ রেখেছি। এর আগেও কাজটি লক্ষীপুর সদরে শুরু করলে স্থানীয় লোকজন একইভাবে বাধা দেয়। খননকাজ শুরু করার আগে খালের দু’পাশের লোকজনকে ঘরবাড়ি ও গাছপালা সরিয়ে নিতে বলেছি।
লক্ষীপুর জেলা বিএডিসির সহকারী প্রকৌশলী শাহরিয়ার শাওন জানান, তুলাতুলি খাল খননের নামে বসতঘর ভেঙে নষ্ট করার কোন সুযোগ নাই। তবে দ্রুত কাজটি শেষ করার জন্য ভেকু মেশিন ব্যবহার করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন