শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

বগুড়ায় সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অর্পিত সম্পত্তি জাল দলিলের অভিযোগ

সদর এসিল্যান্ডকে তদন্তের নির্দেশ দুদুকের

বগুড়া ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৫ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৭ এএম

বগুড়ার অবসরপ্রাপ্ত এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পরিত্যক্ত ও অর্পিত সম্পত্তি স্ত্রীর নামে জাল দলিল সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে এক ব্যক্তির অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য বগুড়া সদরের এসিল্যান্ড তমাল হোসেনকে দায়িত্ব দিয়েছে দুদক।
গাবতলীর দুর্গাহাটা নিবাসী দিলবর রহমান ফকির কর্তৃক দুর্নীতি দমন কমিশন চেয়ারম্যান বরাবর দাখিল কৃত অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, বগুড়া শহরের সূত্রাপুর মৌজার সিএস ৯২৭ খতিয়ানের ২২০৬ দাগের সোয়া ৯ শতক সম্পত্তি অবাঙালি আমেনা খাতুনের নামে ১৯৫৩ সালের ১৭ এপ্রিল দলিল মূলে কবলা খরিদা সম্পত্তি হিসেবে দেখা যায়। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের পর আমেনা খাতুন বা তার স্বামী পুত্র কন্যা দেশান্তরী হওয়ায় পিও ১৬/১৯৭২ এর আওতায় উক্ত সম্পত্তিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে তালিকাভূক্ত ও গেজেটভূক্ত করে সরকারি সম্পত্তি হিসেবে সরকারের কর্মচারীরা উক্ত বাসাবাড়িতে বসবাস করতো। ১৯৭৫ সাল হতে উক্ত সম্পত্তির ওপর অবস্থিত বাসাবাড়ি বিভিন্ন ব্যক্তির নামে পরিত্যক্ত সম্পত্তি হিসেবে লিজ দেয়া ছিল।
অভিযুক্ত ওই পুলিশ কর্মকর্তা রওশন আলী উক্ত পরিত্যক্ত বাসাবাড়ি সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী একসনা লিজ গ্রহন করে পরিত্যক্ত সম্পত্তিটি মৃত আমেনা খাতুন নামে অন্য মহিলাকে দাতা দেখিয়ে এবং জনৈকা বদরুন্নেছা আলেয়াকে গ্রহীতা দেখিয়ে গাবতলী এলাকার অন্যব্যক্তির সম্পত্তি ৩নং তফশীলে উঠিয়ে গাবতলী থানা সাব রেজিস্টার অফিসে ৪২৮৬ নং দলিল মূলে বিগত ১৯৯০ সালের ৯ জুন তারিখে প্রথমে বদরুননেছা আলেয়ার নামে এবং ১৩২২৩ নং দলিল মূলে ১৯৯৩ সালের ১৫ আগস্ট নিজ স্ত্রী মনোয়ারা বেগমের নামে দুটি ভুয়া জাল দলিল সৃষ্টি করে। বিষয়টি জেলা প্রশাসন জানতে পেরে বিগত ২০০৯ সালে তদানিন্তন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মুনীর চৌধুরী উক্ত মনোয়ারা বেগমের বিরুদ্ধে মিস উচ্ছেদ কেস মূলে বিগত ২০০৯ সালের ২১মে তাহাকে উচ্ছেদের নোটিশ প্রদান করে, যা বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বর্তমানে উক্ত সম্পত্তির খাজনা গ্রহণও বন্ধ রয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে দুদকের নির্দেশে ইতোমধ্যে বগুড়া সদর এসিল্যান্ড তমাল হোসেন বাদী-বিবাদীর উপস্থিতিতে অভিযোগের শুনানী গ্রহণ করেছেন। সেই সঙ্গে তদন্তের কাজ অব্যাহত রয়েছে। এ বিষয়ে বগুড়া সদর এসিল্যান্ড তমাল হোসেন বলেন, ইতোপূর্বে কাগজপত্রের ত্রুটিজনিত কারণে এর নামজারি সদর এসিল্যান্ড-এর দপ্তরে এবং পরবর্তীতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব)-এর দপ্তরে স্থগিত করা হয়। তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে শুনানী গ্রহণ করলেও বিষয়টির নিষ্পত্তি এখনো হয়নি। আগামী এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে পুনরায় শুনানীর পর তদন্ত রিপোর্ট দুদুক বরাবর প্রেরণ করা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন