শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

হতাশায় ফিরে যান রোগীরা

স্টাফ রিপোর্টার, বরগুনা থেকে | প্রকাশের সময় : ২৭ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

বরগুনা সদর উপজেলার তৃণমূল মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে এসে তালাবন্ধ পেয়ে খালি হাতে হতাশার ছাপ মুখে নিয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছে রোগীরা। ক্লিনিকধবন্ধ পেয়ে রোগীদের মাঝে ব্যপক গুঞ্জন শুরু হয়েছে। তারা বলছেন, অযথা সরকারি টাকা লোপাটের সুযোগ না দিয়ে ক্লিনিকগুলোকে বন্ধ করে দেয়া উচিত। বরগুনা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, বরগুনা সদর উপজেলায় ৩৪ টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। এ ক্লিনিকগুলোতে ঔষধ সরবরাহ, গ্রামের পুরুষ, মহিলা, গর্ভবতী মা ও শিশুসহ হতদরিদ্র মানুষ বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ঔষধ পাচ্ছেন। সিএইচসিপি, এইচএ ও এফডাবলুএ কর্মীরা আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করায় স্বাস্থ্য সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌছে দেয়া সম্ভব হচ্ছে। প্রতিটি ক্লিনিকে একজন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) সাথে ২ দিন স্বাস্থ্য সহকারী (এইচএ) ও ৩ দিন মাঠকর্মী এফডাবলুএ দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। সরকারিভাবে ২৭ প্রকার ঔষধ সরবরাহ করে আসছে। কর্মরত প্রোভাইডার কর্মীরা সপ্তাহে ৬ দিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। ফলে সদর উপজেলার পত্যন্ত অঞ্চলের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতের পাশাপাশি মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখা কমিউনিটি ক্লিনিকই এখন সাধারণ মানুষের শেষ ভরসাস্থল হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সরেজমিনে গত ২১ মার্চ ও ২৩ মার্চ শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্ত সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে দেখেছে কমিউনিটি ক্লিনিকের ভিন্ন চিত্র। যেখানে বরগুনা সিভিল সার্জন অফিসের দেয়া তথ্যর সাথে কিছুই মিলছে না। গত বৃহষ্পতিবার বরগুনা সদর উপজেলার ২নং গৌরীচন্না ইউনিয়নের খাজুরতলা কমিউনিটি ক্লিনিকটি সকাল ১১টা ৩৮ মিনিটে বন্ধ পাওয়া গেছে। স্থানীয়রা জানান, ক্লিনিকে নতুন লোক এসেছে তাকে চিনেন না তারা। ১নং বদরখালী ইউনিয়নের দঃ পাতাকাটা কমিউনিটি ক্লিনিকটি দুপুর ১২ টা ২৪ মিনিটে বন্ধ পাওয়া গেছে। ৭নং ঢলুয়া ইউনিয়নের কাঠালতলী কমিউনিটি ক্লিনিকের সামনে একটি গাছ থাকায় রাস্তা থেকে বোঝার উপায় নেই ক্লিনিক না বাড়ি। সেটিও দুপুর ১ টায় বন্ধ পাওয়া গেছে। একই ইউনিয়নের কদমতলা ক্লিনিকটি দুপুর দেড়টায় বৃহষ্পতি ও শনিবার দুই দিনই বন্ধ পাওয়া গেছে। একই ইউনিয়নের খাকবুনিয়া কমিউনিটি ক্লিনিকটি দুপুর পৌনে দুই টায় বন্ধ পাওয়া গেছে। বরগুনা সদর ৮ নং ইউনিয়নের হেউলিবুনিয়া কমিউনিটি ক্লিনিকটি দুপুর দুই টায় বন্ধ পাওয়া গেছে। একই ইউনিয়নের পাজরাভাংগা কমিউনিটি ক্লিনিকটি দুপুর সোয়া দুইটায় বন্ধ পাওয়া যায়। এ সময় ওই ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে এসে মলিন মুখে ফিরে যাওয়া রোগী (ছদ্মনাম) ইতি, জেমী, রুনু ও মৌসুমী বেগম জানান, চিকিৎসার জন্য বাড়ির পাশে কমিউনিটি ক্লিনিক হওয়ায় খুব সহজে সেবা পাবো ভাবছিলাম। কিন্তু সপ্তাহের সাত দিনই প্রায় বন্ধ থাকে ক্লিনিক। তাছাড়া দুই একদিন খুললেও ওষুধ নেই বলে আমাদের জানিয়ে দেন স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত কর্মীরা।
বরগুনা জেলা সিভিল সার্জন ডা. হুমায়ুন শাহীন খান জানান, প্রত্যেক কমিউনিটি ক্লিনিকের দুটি কমিটি রয়েছে। তারাই পারে এসব অনিয়ম বন্ধ করতে। তাছাড়া ইতোমধ্য দুটি ক্লিনিকের অনিয়ম পেয়ে তাদের শোকজ করা হয়েছে। আপনারা প্রমানসহ ধরিয়ে দিন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন