সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে আমি কলারোয়ায় উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী নৌকা প্রতীকের ফিরোজ আহমেদ স্বপনের পক্ষে কাজ করেছি। এরই জেরে ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের অবরুদ্ধ করে রেখে আমার স্ত্রী ও পুত্রবধূকে মারপিট করা হয়েছে। একদিন পর আমাকেও মারপিট করা হয়েছে। নির্বাচনে বিজয়ী বিদ্রোহী প্রার্থী আনারস প্রতীকের আমিনুল ইসলাম লাল্টুর ইন্ধনে তার সন্ত্রাসী বাহিনী এই হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে।
বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা বলেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আবদুল গফফার। তিনি বলেন বিজয়ী প্রার্থী আমিনুল ইসলাম লাল্টুর সমর্থক এবং জামায়াত ও বিএনপির সন্ত্রাসীরা ২৪ মার্চ সন্ধ্যায় তার বহুড়া গ্রামের বাড়িতে ঢুকে তার স্ত্রী সাহেলা বেগম ও দুই পুত্রবধূ কাকলি ও শিল্পী ও তাদের সন্তানদের লোহার রড ও শাবল দিয়ে আঘাত করে। এ সময় তারা তাদের শ্লীলতাহানিরও চেষ্টা করে। বসতঘরে জোর পূর্বক ঢুকে বাড়িঘর ভাংচুর করে। পরিবারের সদস্যদের নিজ ঘরে অবরুদ্ধ করে রাখে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন তার বাড়িতে এভাবে হামলার পর লাল্টু বাহিনীর সন্ত্রাসীরা বাড়ির পাশে মুক্তিযোদ্ধার স্মৃতিস্তম্ভে স্ট্যাচুর হাতে থাকা রাইফেল ভেঙ্গেচুরে দেয়। রাত সাড়ে ১১ টায় তার বাড়িতে পুলিশ যেয়ে ঘটনাবলী প্রত্যক্ষ করে।
আবদুল গফফার বলেন পরদিন ২৫ মার্চ সন্ত্রাসীরা ফের অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বহুড়া গ্রামের শফিকুল ইসলাম শফিক ও সোহরাব হোসেন তাকে মারধর করে। এ খবর পাবার পর পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেট তার বাড়িতে যেয়ে আবদুল গফফারকে উদ্ধার করে। বিকালে তার স্ত্রী ও দুই পুত্রবধূকে কলারোয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আবদুল গফফার বলেন এ বিষয়ে তিনি কলারোয়া থানায় একটি মামলা করেছেন। পুলিশ একজনকে আটক করলেও অন্যদের এখনও গ্রেফতার করেনি। তার পরিবার ও মুক্তিযোদ্ধা স্ট্যাচুর ওপর হামলাকারীরা হচ্ছে বহুড়া গ্রামের শফিকুল ইসলাম শফিক, বলিয়ানপুরের জালালউদ্দিন গাজি, লিটন, রিপন, বহুড়ার অলিয়ার রহমান, সোহরাব হোসেন, হাবিবুর রহমান, আজিজুল ইসলাম, দরবাসার জহুরুল ইসলাম এবং বলিয়ানপুরের মিন্টু ও নজরুল ইসলামসহ ২৫ থেকে ৩০ জন সন্ত্রাসী।
তিনি বলেন ২০১৩ সালে কলারোয়ায় জামায়াত ও বিএনপির সন্ত্রাসীরা চারজনকে হত্যা করে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও ২৪ মার্চের নির্বাচন ঘিরে তারা ফের মাথাচাড়া দিয়েছে। তারা ১২ টি ইউনিয়নে শতাধিক বাড়িঘর ভাংচুর করেছে। অভিযোগ করে তিনি বলেন আমিনুল ইসলাম লাল্টু তাদের ব্যবহার করে ও তাদের সমর্থন নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এখন তার ইঙ্গিতে নৌকার কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে বলে জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোশাররফ হোসেন মশু, সাবেক কমান্ডার মীর মাহমুদ হাসান লাকি, হাসনে জাহিদ জজ, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আবুবকর সিদ্দিক, বিএম আবদুর রাজ্জাক, মো, আমির আলি, গোলাম মাওলা বাচ্চু, বদরুল ইসলাম খান, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান লায়লা পারভিন সেঁজুতি, মো. নূরুল আলম প্রমূখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন