কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় ময়না (৩৮) নামের এক গৃহবধূকে গাছের সঙ্গে বেঁধে চুলকেটে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর আহত ওই নারীকে ভেড়ামারা ৫০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গত ২৪ মার্চ এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। নির্যাতনের শিকার নারী নিজেই বাদী হয়ে ভেড়ামারা থানায় একটি মামলা করেছেন। তবে ঘটনার তিন দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ এখনো কাউকে আটক করতে পারেনি।
বুধবার বিকেলে নির্যাতনের শিকার নারী ও তার স্বামীর সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। ওই গৃহবধূ বলেন, গত রোববার নিজ বাড়িতে বসে গল্প করছিলেন তারা। এ সময় হঠাৎ করে তার স্বামীকে ঘর থেকে বের করে দিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে দেন শ্বশুরবাড়ির কয়েক সদস্য। এরপর তাকে মারধর করে মাথার চুল কেটে দেয়া হয়। কিছুক্ষণ পর টেনে-হিঁচড়ে বাইরে নিয়ে বাড়ির সামনে সজনে গাছের সঙ্গে বেঁধে ৫ থেকে ৬ জন মিলে তাকে নির্যাতন করেন। এক পর্যায়ে তার গায়ের কাপড়ও ছিঁড়ে দেয়া হয়। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। নির্যাতিতা নারী অমানুষিক নির্যাতনের বিচার চান।
এদিকে তার স্বামী আসলাম বলেন, আমি বিয়ে করেছি ভুল করেছি তার জন্য আইন আছে। তবে আমার আগের পক্ষের লোকজন আমার স্ত্রীর ওপর যে নির্যাতন চালিয়েছে তার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি। নির্যাতনের শিকার নারীর স্বামী অভিযোগ করেন, তাদের বিয়ে মেনে নিতে না পারায় তার স্ত্রীকে নির্যাতন করা হয়েছে। এ ঘটনার বিচার দাবি করেছেন নির্যাতিতা নারীর স্বজনেরা।
কর্তব্যরত চিকিৎসক মিজানুর রহমান বলেন, ব্যথায় রোগী ঠিকমতো নড়াচড়া করতে পারছেন না। সুস্থ হতে কিছুদিন সময় লাগবে।
ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম খন্দকার বলেন, নির্যাতনের ঘটনায় ৬ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন