বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

কাঠমিস্ত্রি ও জেলের ঘরে জিপিএ-৫ সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পিতা-মাতা

প্রকাশের সময় : ২১ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মাদারীপুর জেলা সংবাদদাতা

দুই অদম্য মেধাবী ছাত্রী বিথী সূত্রধর ও নুপুর মালো। এরা দু’জনই এবার বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে। বিথীর বাবা একজন কাঠমিস্ত্রি আর নুপুরের বাবা জেলে। দু’পরিবারই দারিদ্র্যতার কষাঘাতে জর্জরিত। এদের ভালো করে সংসারও চলে না। কারও ঘরে নেই পড়ার চেয়ার-টেবিল ও আসবাব। ছোটবেলা থেকে বইখাতা নিয়ে বিছানায় বসে পড়াশুনা করেছে তারা। দারিদ্র্যকে জয় করে অদম্য এই মেধাবী জিপিএ-৫ পেয়ে তারা মা-বাবার মুখ উজ্জ্বল করেছে ঠিকই। কিন্ত পরীক্ষায় ভালো করেও উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়া নিয়ে উভয় পরিবারের মাঝে দেখা দিয়েছে শঙ্কা। পৃষ্ঠপোষকতা না পেলে এখানেই থমকে যেতে পারে এই দুই মেধাবী ছাত্রীর লেখাপড়া। তারা দু’জনই শিবচর পৌর এলাকার খানকান্দি সৈয়দ আশরাফ আলী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে। নুপুর মালো : শিবচর পৌর এলাকার ৭নং ওয়ার্ডের নলগোড়া গ্রামের শঙ্কর মালোর মেয়ে নুপুর মালো এ বছর খানকান্দি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পায়। তার তার বাবা একজন জেলে আর মা যমুনা রানী মালো গৃহিণী। বড়বোন সেতু মালো স্থানীয় সরকারি বরহামগঞ্জ কলেজে বিএ পড়ে। তার বাবার সামান্য আয়। দুই জনের পড়ালেখার খরচ বহন করা তার পক্ষে খুবই কষ্ট। এ বছর আবার নুপুর মালোর কলেজে ভর্তির টাকা সংগ্রহ করা খুবই কষ্টকর। দারিদ্র্যকে জয় করে অদম্য এই মেধাবী জিপিএ-৫ পেয়ে  নুপুর মালো মা-বাবার মুখ উজ্জ্বল করেছে ঠিকই কিন্ত পরীক্ষায় ভালো করেও উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়া নিয়ে পরিবারের মাঝে দেখা দিয়েছে শঙ্কা। অর্থের অভাবে কলেজে ভর্তি হতে না পারলে লেখাপড়া এখানেই শেষ। বিথী সূত্রধর : শিবচর পৌর এলাকা ৮নং ওয়ার্ডের নলগোড়ার গকুল সূত্রধরের মেয়ে বিথী সূত্রধর। তার বাবা পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রি। মা পলি রানী সূত্রধর গৃহিণী। কাঠমিস্ত্রির স্বল্প আয়ের সংসার চালানোই কষ্ট। প্রতি দিনের সামান্য আয়ে তার সংসারই চলে না। মেয়ের ভালো ফলাফলে খুশি বাবা-মা। খুশি হলেও বিথীর উচ্চ শিক্ষার ভবিষ্যৎ নিয়ে দুঃচিন্তায় পরিবার। আগামীতে কলেজে ভর্তির পর লেখাপড়ার খরচ চালাতে সমাজের বিত্তবানদের সাহায্য কামনা করেন তারা। পৃষ্ঠপোষকতা না পেলে এখানেই থমকে যেতে পারে এই মেধাবী ছাত্রীর লেখাপড়া। খানকান্দি সৈয়দ আশরাফ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষাক মো. ইদ্রিস আলী ফকির বলেন, ‘বিথী সূত্রধর ও নুপুর মালো দুই জনই অত্যন্ত মেধাবী। তারা অসচ্ছল পরিবারের মেয়ে। তাদের লেখাপড়ার জন্য আমার বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষিকারা বেশ সাহায্য করেছে। কিন্ত এখন তাদের উচ্চ শিক্ষার পথে লেখাপড়া চালিয়ে যেতে হলে আরো সাহায্য প্রয়োজন।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন