আমতলী (বরগুনা) উপজেলা সংবাদদাতা
আমতলীর পূর্ব চিলা গ্রামে ১৭ মে মাটি কাটাকে কেন্দ্র করে ১ ব্যক্তি নিহত হলে নিহতের স্ত্রী রীনা বেগম ১৪ জনকে আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। আসামিরা বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেলে বাদীপক্ষের লোকজন ১৭ মে রাতে আসামি মোক্তার হাওলাদার ও তার ভাই রফিক হাওলাদারের ১২টি মহিষ লুট করার প্রচেষ্টা চালায়। এ সময় এস.আই শহিদুল ইসলামের হস্তক্ষেপে লুট প্রচেষ্টা ব্যাহত হয়। মহিষগুলো আসামিদের আত্মীয়স্বজনদের কাছে ফেরত দেয়ার জন্য তিনি স্থানীয় মেম্বার ও চৌকিদারকে নির্দেশ দিয়ে আসেন। কিন্তু ১১টি মহিষ ফেরত দিলেও ১টি মহিষ তারা লুটে নিয়ে যায়, যার আনুমানিক মূল্য ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা। পরদিন ১৮ মে রাতে স্থানীয় উক্ত লুটেরাদের মধ্যে নান্নু তালুকদারের নেতৃত্বে হালিম তালুকদার, হাসেম হাং, জালাল হাং, সবুজ হাং, হাবিব তাং, সেলিম আকন, গফফার হাং প্রমুখ আসামি মোক্তার হাওলাদার ও তার ভাই রফিক হাওলাদারের ৩১টি রাজহাঁস, যার আনুমানিক মূল্য ২৫ হাজার টাকা, ৩০/৩৫টি হাঁস-মুরগী, যার আনুমানিক মূল্য ১০ হাজার টাকা, ৯টি ছাগল, যার আনুমানিক মূল্য ৩০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। আসামিদের বাড়ির ঝি-বউ এবং ছোট ছোট মাসুম বাচ্চাদের ভয়ভীতি ও হুমকি-ধমকি দেয়া হচ্ছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তারা বাড়িতে প্রবেশ করতে পারছে না। মামলার তদন্তকারী কর্র্মকর্তা এসআই শহিদুল ইসলাম জানান, তিনি বাদীপক্ষ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সতর্ক করে জানিয়ে দিয়েছেন যে, আসামি পক্ষের বাড়িঘর ও সহায়-সম্পদের যেন কোন প্রকার ক্ষতিসাধন না হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন