পাবনায় ফের বজ্রপাাত । দুইজন নিহত ও ৪ জন আহত হয়েছে। আহতদের চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত শান্ত হোসেন (১২) উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের বোঁথড় মধ্যপাড়া গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে ও একই ইউনিয়নের দোদারিয়া গ্রামের সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী রিনা খাতুন (২৮)। এদের মধ্যে শান্ত হোসেন বোঁথড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র ছিল। শনিবার বিকেলে শান্ত মাঠ থেকে রসুন নিয়ে এবং রীনা ছাগল নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে মারা যান। ..
আহত চারজন উপজেলার নটাবাড়িয়া গ্রামের মোজাহার প্রামানিকের স্ত্রী শাহনাজ খাতুন (৩৫), বোঁথড় গ্রামের আলমাছ আলীর স্ত্রী রেহেনা খাতুন (৪০), মৃত কফিল প্রামানিকের ছেলে কাবিল প্রামানিক (৫০) ও -বোঁথড় মধ্যপাড়া গ্রামের আলম হোসেনের ছেলে ৫ম শ্রেণীর ছাত্র মুসা হোসেন (১৩) কে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
চাটমোহর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শরিফুল ইসলাম জানান, ঘটনার সময় হতাহতরা মাঠ থেকে রসুন ও ছাগল নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে বৃষ্টির মধ্যে তাদের ওপর বজ্রপাত হলে তারা আহত হন। তাদের উদ্ধার করে স্থানীয়রা চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শান্ত ও রীনা খাতুনকে মৃত ঘোষণা করেন।
উল্লেখ্য, পাবনায় ঘন ঘন কজ্রপাত হচ্ছে । চারদিনে জেলায় বজ্রপাতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩ জন।
পারনা জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ কর্মকর্তা, শেখ সিরাজুল ইসলাম বলেন,
নিহতদের দাফনের জন্য আর্থিক সহযোগিতা করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিনের নির্দেশে এই কাজ করা হয়েছে। এদিকে, পাবনার চাটমোহর , সাঁথিয়া , সুজানগরে ঘন ঘন বজ্রপাত প্রাকৃতিক কারণ হলেও স্থানীয় মানুষজন মনে করেন,
মোবাইল টাওয়ারের কারণে বজ্রপাত বেশী হচ্ছে । রমজান আলী জানান,
তিনি পত্র-পত্রিকা ও ইল্টেক্ট্রনিক্টস মিডিয়ার খবর থেকে জানতে পেরেছেন,
তালগাছ থাকলে বজ্রপাত ঐ গাছে গিয়ে পড়ে। এলাকায় বাড়ি-ঘর নির্মাণের কারণে তাল গাছ কেটে ফেলা হয়।
এলাকায় তালগাছ নেই বললেই চলে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন