শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

আদমদীঘির জলপাতি ও স্থলপাতির তৈরি মাদুর যাচ্ছে বিভিন্ন জেলায়

কম খরচে লাভ বেশি হওয়ায় পাতি চাষে ঝুঁকছে কৃষক

প্রকাশের সময় : ২১ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

আদমদীঘি (বগুড়া) উপজেলা সংবাদদাতা

বগুড়ার আদমদীঘির পাতির তৈরি মাদুর সারাদেশে ব্যাপক জনপ্রিয় হওয়ায় এর চাহিদা ও উৎপাদন ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সাথে এখানকার একমাত্র হেললিয়ার মাদুরের হাটে বেচা-কেনা বেড়েছে কয়েক গুণ। ফলে ইরি-বোরো ধানের চেয়ে পাতি চাষ করে অনেক চাষি এবার লাভবান হয়েছেন। এবার এ উপজেলায় ২০ হেক্টর জমিতে পাতি চাষ করা হেেয়ছে বলে স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে। এখানে দুই প্রকার পাতির চাষ হয়, জলপাতি ও স্থলপাতি। জলপাতি মোটা এটাকে চিরে মাদুর তৈরি করতে হয়, আর স্থলপাতি চিকন এটা চিরা লাগে না। হাওর, ডোবা, নদী-নালাসহ উঁচু-নীচু জমিসহ যে কোন স্থানে পাতি চাষ করা যায়। পাতি চাষ করতে জমিতে অল্প পরিমাণ সার দিতে হয় না, তেমন কোন পরিচর্যা করতে হয় না। পাতি চাষে ইরি-বোরোর চেয়ে খরচ লাগে কম। পাতি লাগানোর পর তিন বার কাটা লাগে, তিন বারে হেক্টর প্রতি ফলন হয় সাড়ে ৬ থেকে ৭ মেট্রিক টন। যার বর্তমান বাজার মূল্য ১৬ থেকে ২০ হাজার টাকা। ফলে ইরি-বোরো চাষের চেয়ে পাতি চাষ করে লাভবান হয়েছেন অনেকে। এছাড়া উৎপাদিত পাতির মাদুর তৈরির কাজ করছেন শত শত নারী-পুরুষসহ এলাকার বেকার যুবকরা। আবার অনেকে পাতি ও মাদুরের খুচরা এবং পাইকারী ব্যবসা করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। এই উপজেলার পাশাপাশি নওগাঁ সদর উপজেলা শিমুলিয়া, ইলশাবাড়ী, বলিরঘাট, চন্ডিপুর, গাংজোয়ার, শৈলগাছি ও রানী নগর উপজেলা মীরাট, চকজি, বোদলা, পালসা, তেবাড়িয়া গ্রাম এলাকায় এবার ব্যাপক পাতি চাষ হয়েছে। প্রতি বৃহস্পতিবার ও রোববার সান্তাহার শহর পার্শ্ববর্তী হেলহালিয়ায় মাদুরের বিশাল হাট বসে। এই হাটে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকার আসে এবং লক্ষ লক্ষ টাকার বেচা কিনা হয়। এখানকার তৈরি মাদুর সুন্দর, টিকসই ও দামে কম হওয়ায় সারাদেশে এর চাহিদা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিন ট্রেন পথ ও সড়ক পথে দক্ষিণ অঞ্চলের কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, যশোহর, খুলনা, ফরিদপুর, মাদরীপুর, বরিশাল, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, রাজধানী ঢাকা  ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় হাজার হাজার মাদুর যাচ্ছে। এ কারণে এর চাহিদা ও উৎপাদন দুটোই বৃদ্ধি পেয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন