মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

তিন সংরক্ষিত ওয়ার্ডে প্রার্থী ৮ জন টেকনাফ পৌরসভা নির্বাচন মহিলাদের কল্যাণে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রচারণা

প্রকাশের সময় : ২১ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মুহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান, টেকনাফ (কক্সবাজার) থেকে

টেকনাফ পৌরসভা নির্বাচনে নারীদের কল্যাণে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাইছেন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীরা। এই পৌরসভার অর্ধেকেরও বেশি ভোটার নারী। উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভার মোট ভোটার সংখ্যা ১৩ হাজার ২৮৭ জন। এরমধ্যে নারী ৭ হাজার ৭৫৮ জন। এবার তিনটি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৮ জন নারী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কয়েকজন ভোটারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ, যৌতুক, বাল্যবিবাহ, দুস্থ নারীদের পুনর্বাসনসহ নারীদের কল্যাণে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ওই প্রার্থীরা ভোট ও দোয়া চাইছেন। গণসংযোগকালে দেখা যায়, ভোটারের কাছে ভোট চাইছেন ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডে সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী কহিনুর আক্তার (টুন্নি)। এ সময় তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল নারীদের জন্য কী করতে চান, জবাবে তিনি বলেন, ‘এলাকার বেশিরভাগ লোক দরিদ্র ও অশিক্ষিত। এলাকায় যৌতুক, বাল্যবিবাহ, নারীর প্রতি সহিংসতা খুব বেশি। এখান থেকে এসব সমস্যা দূর করতে আমি প্রার্থী হয়েছি।’ আরেক প্রার্থী সাজেদা বেগম মুন্নী বলেন, ‘নারীর প্রতি বৈষম্যের অভিজ্ঞতাই আমাকে নারী সমাজের নেতৃত্ব দিতে উৎসাহিত করেছে।’ তিনি বলেন, দুস্থ নারীদের অর্থনৈতিক মুক্তিই তার প্রধান নির্বাচনী অঙ্গীকার। এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ফিরোজা বেগম বলেন, ‘দুস্থ নারীদের পুনর্বাসনে অনেক কাজ করেছি। অনেক সময় সালিস বৈঠকে পুরুষদের প্রভাবের কাছে অসহায় বোধ করেছি। তাই নারীদের জন্য আরও কাজ করতে এবারও নির্বাচন করছি।’ ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী শামিমা আক্তার আকতারা বলেন, ‘বিগত ৫ বছর দুস্থ নারীদের জন্য অনেক কাজ করেছি, দুস্থ নারীদের আরও সেবা করতে এবারও নির্বাচন করছি।’ ওই ওয়ার্ডের প্রার্থী ও উপজেলা নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সদস্য শামিমা আক্তার আকতারা বলেন, ‘পুরুষ শাসিত সমাজে নারীদের অধিকার আদায় করতে আমি প্রার্থী হয়েছি। নারীদের স্বার্থ সংরক্ষণে বিভিন্ন সময় কাজ করতে গিয়ে নানা প্রতিকূলতায় পড়তে হয়েছে। পুরুষেরা যতই নারীর মর্যাদার কথা বলুন না কেন, তারা সর্বদা নারীকে বৈষম্যের চোখে দেখেন।’ ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী হোসনে আরা বলেন, তার এলাকার বেশিরভাগ লোক হতদরিদ্র। তাদের জন্য কেউ কাজ করেন না। নির্বাচিত হলে নারীসহ এলাকার অবহেলিত মানুষের জন্য কাজ করব এবং ‘আমি বিজয়ী হতে পারলে নারী সমাজের নিরক্ষরতা দূরীকরণ ও পুঁজি গঠনের লক্ষ্যে সঞ্চয়ে দুস্থ নারীদের উদ্বুদ্ধ করব।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন