এফআর টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের পর গত চার দিন ধরে বন্ধ রাখা হয়েছে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ বনানীর কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ। এতে করে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয় লোকজন ও ব্যবসায়ীরা। অন্যান্য দিন বন্ধ থাকা রাস্তায় পুলিশ থাকলেও গতকাল তা দেখা যায়নি। এতে করে অনেকেইে ব্যারিকেট সরিয়ে এবং উল্টো দিক দিয়ে যানবাহন নিয়ে চলাচল করায় সমস্যায় পড়তে হয় পায়ে হেঁটে চলাচলকারী সাধারণ মানুয়ের। গতকাল ঘটনাস্থলে সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, বনানীর কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ এলাকার প্রায় সবগুলো রাস্তাই বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে করে এফআর টাওয়ারে আশপাশের অনেকগুলো ভবনের অফিসের কার্যক্রমও বন্ধ রাখা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ওই এলাকার সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমও এক ধরনের বন্ধ রাখা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এফআর টাওয়ারের পাশের একটি ভবনে অফিস রয়েছে এমন একজন ব্যবসায়ী বলেন, অগ্নিকান্ডের পর থেকে তার অফিসের কার্যক্রম বন্ধ। বিদ্যুত ও পানি সরবরাহও ওই ভবনে নেই। এমনকি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও অফিসে যেতে পারেছেন না। প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত অফিস বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে বলে তিনি জানান।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শুধু এফআর টাওয়ার কেন্দ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা রেখে বাকি সকল প্রতিষ্ঠান চালু করার ব্যবস্থা করা উচিত। রাস্তা বন্ধ রাখায় শুধু যান চলাচলে সমস্যা নয়, ওই এলাকায় ব্যবসা-বাণিজ্যেও মারাত্মক সমস্যা হচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
বনানী থানার এসআই মো. নাজমুল জানান, এফআর টাওয়ার ও রাস্তার নিরাপত্তায় পুলিশ রয়েছে। তবে আগের চেয়ে কম। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পেলে রাস্তার ব্যারিকেট তুলে দেয়া হবে।
গতকাল সকালে এফ আর টাওয়ার পরিদর্শন শেষে বুয়েট ও রাজউকের সমন্বয়ে গঠিত তদন্ত টিমের সদস্য, বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ার বিভাগের অধ্যাপক মেহেদী আহমেদ আনসারী সাংবাদিকদের বলেন, দুর্ঘটনায় এফ আর টাওয়ার কিছুটা হেলে পড়েছে। ভবনের ভেতরের কলাম ও স্ল্যাব ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে অভিজাত এলাকার এ টাওয়ারটিতে আগুন লাগে। এতে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ২৬ জন। ৭০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।#
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন