টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে অগ্নিকান্ডে গোড়াই শিল্পাঞ্চলের ছয়টি পরিবারের সর্বস্ব পুড়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের দক্ষিণ নাজিরপাড়া আব্দুল মজিদ সিকদারের বাড়িতে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্থ প্রত্যেকেই গোড়াই শিল্পাঞ্চলের কারখানার শ্রমিক বলে জানা গেছে।
বৈদ্যুতিক শকসার্কিট থেকে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ওই বাড়িতে ভাড়া থাকা ছয় পরিবারের নগদ অর্থসহ প্রায় ১৫ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে যায়। এদিকে অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারে ১০ভান্ডিল ঢেউটিন অনুদান ঘোষণা করেন। ক্ষয়ক্ষতি নির্ণয় করে তাকে জানালে তিনি পরে আরও সহায়তা দেবেন বলে প্রতিশ্রæতি দেন। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. হাফিজুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আবু সালে মাসুদ করিম সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
গোড়াই ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার আদিল খান জানান, গোড়াই শিল্পঞ্চলের কারখানার শ্রমিক আলমগীর হোসেন, আলম মিয়া, জীবন মিয়া, রাসেল, ফারুক ও রহিম মিয়া পরিবার নিয়ে আব্দুল মজিদের বাড়ি ভাড়া নিয়ে বসবাস করতেন। বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে বৈদ্যুতিক মিটার থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়। মূহুর্তের মধ্যেই আগুন ঘরে ছড়িয়ে পড়ে দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে। আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে আধঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসলেও ছয় পরিবারের সর্বস্ব পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এদিকে খবর পেয়ে মির্জাপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের একটি দল ঘটনা স্থলে পৌছালেও তার আগেই আগুন নিয়ন্ত্রনে চলে আসে। এদিকে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ী যথা সময়ে ঘটনাস্থলে না পৌছানোয় স্থানীয় লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে।
বাড়ির মালিক আব্দুল মজিদ জানান, বৈদ্যুতিক মিটার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে মুহুর্তেই তা ছড়িয়ে পড়ে ঘরের মালামালসহ সর্বস্ব পুড়ে যায়। এ সময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলেও তারা যথাসময়ে না আসায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমান বেশী হয়েছে বলে জানান।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের স্টেশন অফিসার মো. বেলায়েত হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা ঘটনাস্থলে পৌচেছেন। খবর দিতে তারা দেরী করেছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন