শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী নির্যাতন মামলা তুলে নিতে বাদীকে এসিড নিক্ষেপ ও প্রাণনাশের হুমকি

প্রকাশের সময় : ২২ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বাগেরহাট জেলা সংবাদদাতা
বাগেরহাটে জামিনে মুক্তি পেয়ে আসামি কর্তৃক নারী নির্যাতন মামলার বাদীকে জীবন নাশের হুমকি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে বাগেরহাট মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বাগেরহাট সদর উপজেলার বেশরগাতি গ্রামের শেখ আনছার আলীর একমাত্র মেয়ে রাবেয়া খাতুনের সাথে ২০১২ সালে একই উপজেলার কান্দাপাড়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের (এসডিএফ) মাঠকর্মী সুলতান মাহমুদের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় স্বর্ণালংকারসহ ৩ লক্ষাধিক টাকার মালামাল প্রদান করে মেয়ের পরিবার। কিন্তু বিয়ের কয়েক মাস যেতে না যেতে সুলতান মাহমুদ পুনরায় মোটরসাইকেল ও ঘর তৈরির জন্য ৩ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। রাবেয়া খাতুনের পরিবার ওই টাকা দিয়ে অস্বীকার করলে তার উপর মানুষিক ও শারীরিক নির্যাতন শুরু করে। ক্রমেই বাড়তে থাকে নির্যাতনের মাত্রা। একাধিক শালিস বৈঠক করেও এই নির্যাতন বন্ধ করা যায়নি। গত ১৫ মার্চ যৌতুকের দাবিতে রাবেয়াকে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে রাবেয়ার পিতার পরিবার তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় ২৩ মার্চ রাবেয়া খাতুন বাদী হয়ে বাগেরহাট আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। আদালত বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেয়। গত ৩১ মার্চ বাগেরহাট আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিট্রেট তানিয়া বিনতে জাহিদ আসামি সুলতান মাহমুদ, তার ভাই সহিদুল ইসলাম (সহিদ) এবং চাচা আঃ রশিদকে অভিযুক্ত করেন অনুসন্ধান প্রতিবেদন প্রদান করেন। আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ান জারি করে। সুলতান মাহমুদ ২৮ এপ্রিল আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেয়। গত ৫ মে সে জামিনে মুক্তি পেয়ে মামলার বাদী রাবেয়া খাতুন ও তার পরিবারের ওপর মামলা তুলে নেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। মামলা তুলে না নিলে এসিড নিক্ষেপ, মিথ্যা মামলায় জড়ানো, জীবনে শেষ করে দেয়াসহ বিভিন্নভাবে হয়রানির হুমকি অব্যাহত রেখেছে। এ ঘটনায় রাবেয়া জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে গত বৃহস্পতিবার বিকালে বাগেরহাট মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন