বিয়ানীবাজার (সিলেট) উপজেলা সংবাদদাতা
ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে একই রাতে বিয়ানীবাজারের ৪টি ইউনিয়ন প্লাবিত করেছে। এসব ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের কয়েকশ’ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। বন্যার পানি বৃদ্ধির ফলে দুবাগ, শেওলা ও কুড়ারবাজার ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি মসজিদ, মাদ্রাসা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি উঠে পড়ায় অনেক বিদ্যালয় ইতোমধ্যে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মসজিদগুলোতে মুসল্লিরা অনেক কষ্ট করে নামাজ আদায় করছেন। উপজেলার ৪ ইউনিয়নের ২০ গ্রামের কয়েকশ’ পরিবার বন্যার পানিতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এসব এলাকার কিছু কিছু পরিবার নিরাপদ আশ্রয়ে আত্মীয়ের বাড়িতে ছুটে গেছেন। কুশিয়ারা তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা জানায়, ভোরে ঘুম থেকে জেগে গ্রামবাসী দেখেন কুশিয়ারা নদীর পানিতে রাস্তা-ঘাট, বাড়ি-ঘর সব তলিয়ে গেছে। নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হওয়ার আশঙ্কা করছেন গ্রামবাসী। নদীর পানি প্রবল বেগে গ্রাম ও হাওরে প্রবেশ করছে। নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে নতুন নতুন এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। বিকেলে বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহ. আসাদুজ্জামান বন্যা উপদ্রুত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন