শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় জেলহাজতে অন্তরীন ম্যাটস’র মেডিসিন বিভাগের ছাত্র মেহরাজ হোসেন তুষার জায়গা কেনা-বেচার বিরোধিতার জের ধরে ষড়যন্ত্রের শিকার বলে দাবী করেছেন তাঁর পরিবার। শনিবার দুপুরে কুমিল্লা নগরীর চকবাজারে একটি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তুষারের পিতা কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার গলিয়ারার কৃষ্ণনগর গ্রামের পল্লী চিকিৎসক আলী আশরাফ এ দাবী করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, কুমিল্লা শহরতলীর কনেকশতলা এলাকার আবদুল ওহাবের ছেলে পুলিশের সোর্স জামাল হোসেনের সাথে জায়গা সংক্রান্ত বিরোধ থাকায় সে তারই প্রতিবেশী প্রবাসী আবুল কালামের চার বছর বয়সী কন্যা নাবিলাকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় তার ছেলে তুষারকে ফাঁসিয়েছে। জামাল নিহত নাবিলার পিতার বন্ধু। অথচ নাবিলার পরিবারের পক্ষে দাদা হাজী আবদুল আজিজ কর্তৃক ঘটনার বিষয়ে সদর দক্ষিণ থানায় যে এজাহার করা হয়েছিল তাতে কারো নাম ছিল না। কিন্তু ঘটনার প্রায় দেড় মাস পর গত ২৯ জানুয়ারি দুপুরে তুষারকে নগরীর কুচাইতলী এলাকার বি-বাড়িয়া ম্যাটস থেকে ক্লাস শেষে বাড়ি ফেরার পথে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়।
সংবাদ সম্মেলনে তুষারের পিতা আলী আশরাফ দাবী করেন গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর শিশু নাবিলার লাশ কৃষ্ণনগর গ্রামের যে নির্মাণাধীন ভবনের কক্ষ থেকে উদ্ধার করা হয় সেই ভবনের মালিক রাজমিস্ত্রি হাবিব ওরফে হাবু পুলিশ আটক করে পরদিন ছেড়ে দেয়। ছাড়া পাওয়ার এক সপ্তাহের মাথায় হাবু ওমানে পাড়ি জমায়। আর ঘটনার দেড়মাস পর তার ছেলেকে ডিবি পুলিশ আটক করে জোর পূর্বক স্বীকারোক্তি নিয়ে তাকে জেল হাজতে পাঠায়। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গত ১এপ্রিল দুর্বৃত্তরা তার বসত ঘরেও আগুন দেয়। আগুনের ঘটনায় নগদ টাকাসহ মূল্যবান জিনিষপত্র পুড়ে যায়। তিনি শিশু নাবিলা হত্যা ও ধর্ষনের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক প্রকৃত দোষীদের বিচার এবং তার নির্দোষ সন্তানের মুক্তি দাবী করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন