চুরি হওয়া হালের বলদ ফিরে পেয়ে মুখে হাঁসি ফুটেছে গনজের আলী ও তার স্ত্রীর। গত মাসে তাদের একমাত্র সম্বল সাতটি গরু চুরি হয়ে যায়। আয়ের একমাত্র গরুগুলি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েন তারা। থানায় মামলা করতে আসলে ওসি তাদের বলেন, ধৈর্য ধরুন গরু উদ্ধারের জন্য চেষ্টা করছি। ওসি মাহফুজুর রহমান তার কথা রেখেছেন। অবশেষে চুরি হয়ে যাওয়া সেই গরু উদ্ধার করে তাদের মুখে হাসি ফিরিয়ে দিয়েছেন। রোববার রাতে খুলনা ও বাগেরহাট জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গরু চুরির সাথেথ জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের হেফাজত থেকে ছোট বড় ১৫ গরু উদ্ধার করে পুলিশ।
সোমবার (১ নভেম্বর) সকালে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থানা অভ্যন্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবুল বাশার জানান, ১২ অক্টোবর ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ শহরের ফয়লা গ্রামের গনজের আলীর ৭ ও ১৯ অক্টোবর দিনগত রাতে ঝিনাইদহ সদর থানার হামদল ঘোষপাড়া এলাকা থেকে মৃত তাজুল গাজীর ছেলে জালাল গাজীর ৬ গরু চুরি হয়। ঘটনার পর কালীগঞ্জ ও সদর থানায় পৃথক দুইটি চুরি মামলা দায়ের হয়। এরপর অভিযানে নামে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, বাগেরহাট জেলার কচুয়া থানার নরেন্দ্রপুর গ্রামের আকুব্বর কাজীর ছেলে উজ্জ্বল কাজী (৩৫), একই জেলার ফকিরহাট উপজেলার বড় খাজুরা গ্রামের মৃত মজিদ শেখের ছেলে শেখ ওহাব (৫০)। চিতলমারী উপজেলার শ্যামপাড়ার মৃত লিয়াকত আলীর খানের ছেলে সুজন খান ওরফে মিলন (৪২), ফকিরহাট উপজেলার ছোট বাহিরদিয়া গ্রামের মৃত নুর মোহাম্মদ কাজীর ছেলে আল আমিন কাজী (২৯), খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার জিলেরডাংগা গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজ ফকিরের ছেলে সেকেন্দার আলী ফকির (৪৫), খলসি গ্রামের আব্দুল হালিম গাজীর ছেলে রুবেল গাজী (৩৫) ও বটিয়াঘাটি উপজেলার লক্ষীখোলা গ্রামের মৃত আব্দুল্লাহ শেখের ছেলে জিয়া শেখ (৪২)। সংবাদ সম্মেলনের সময় কালীগঞ্জ থানার ওসি মুহাঃ মাহফুজুর রহমানসহ থানার অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত গরুর মালিকা গনজের আলী জানান, পুলিশ আমাদের গরু উদ্ধার করে দিবে এটা আমরা কখনো ভাবতেও পারিনি। পুলিশ সম্পর্কে তাদের ধারনা পাল্টে গেছে। পুলিশ সত্যিই জনগনের ও অসহায় মানুষের বন্ধু বলে উল্লেখ করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন