ইসলামি বক্তা মুফতি যুবায়ের আহমাদের ছোট ছেলে ওয়ালিউল্লাহ আধো আধো কণ্ঠে এই একটা কথাই বলছিল, আমি আমার আব্বুকে ফেরত চাই। গত ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে নিখোঁজ যুবায়ের আহমাদের সন্ধান চেয়ে আজ সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হলে সেখানে ছেলের এমন আর্তি।
মুফতি যুবায়ের আহমাদের স্ত্রী বিলকিস আক্তার সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, মুফতি যুবায়ের আহমাদ বাংলাদেশের একজন পরিচিত মুখ। তিনি কোনো রাজনৈতিক দল, মত বিশৃঙ্খলা বা রাষ্ট্রবিরোধী কাজের সঙ্গে জড়িত নন। তার কোনো বক্তব্যে কিংবা লেখায় দেশ ও সরকারবিরোধী এমন কিছুই খুঁজে পাওয়া যাবে না। যুবায়ের আহমাদ যেসব কাজ করেন তার প্রতিটি কাজই দৃশ্যমান উল্লেখ করে বিলকিস আক্তার বলেন, তিনি লুকিয়ে কোনো কাজই করতেন না। বিভিন্ন সময়ে আইন শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে নিয়োজিত অনেকেই তার কাজের প্রশংসা করেছেন। সারাদেশের মানুষ, সব উলামায়ে কেরামদের মধ্যে উনার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের যেখানে দ্বীন শিক্ষার অভাব রয়েছে সেখানে তিনি মক্তব-মাদরাসা পরিচালনা করেন। ছোট ছোট শিশুদের শিক্ষা দান করেন। করোনার মধ্যে যেহেতু মাদরাসার সব কার্যক্রম বন্ধ ছিল, তাই তিনি সেগুলো কীভাবে নতুন করে শুরু করা যায়, সে বিষয়ে পরামর্শদান করতে কিছুদিন আগে সফরে বের হোন। গত ১৭ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টায় বিমানযোগে ঢাকায় পৌঁছান যুবায়ের আহমাদ। ফ্লাইট থেকে নেমে কল করে তিনি আমাদের জানান, তার আসতে কিছুটা দেরি হতে পারে। কিন্তু খুব শিগগির চলে আসবেন। এরপর থেকেই যুবায়ের আহমাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। কোথাও খুঁজেও পাওয়া যাচ্ছে না।
বিলকিস আক্তার বলেন, আমরা ইতোমধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা চেয়েছি। কিন্তু খুবই দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে কোথায়ও আমাদের একটি সাধারণ ডায়েরিও নিচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে অনুরোধ তিনি জানিয়ে বলেন, আমার স্বামীকে খুঁজে বের করতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে বিশেষ নির্দেশ দিতে অনুরোধ জানাচ্ছি। আমরা পারিবারিকভাবে অনেক দুশ্চিন্তার মধ্যে আছি। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন মুফতি যুবায়ের আহমাদের ছোট ভাই মো. হাবিবুল্লাহ, মো. হিজবুল্লাহ প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন