সৈয়দপুরে একই দিনে দু’টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজন চটপটি বিক্রেতা। অপরজন স্কুল ছাত্র। চটপটি বিক্রেতা এমদাদুল হকের (৪৫) লাশ উদ্ধার করা হয় পৌর এলাকা ওয়াপদা নতুনহাট দক্ষিণপাড়ার তাঁর বাড়ির পিছনে গাছে ঝুলন্ত অবস্থায়। আর সৈয়দপুর উপজেলার বাঙ্গালীপুর ইউপির খড়খড়িয়া নদীরপাড় এলাকার বাড়ি থেকে স্কুল ছাত্র মিঠুন চন্দ্র রায়ের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ দুইটি অপমৃত্যুর ঘটনায় সৈয়দপুর থানায় দুইটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। তবে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষরা চপটটি বিক্রেতা এমদাদুল হককে পিটিয়ে হত্যা করে তাঁর লাশ বাড়ির পিছনে গাছে ঝুলিয়ে রাখে বলে অভিযোগ করেছে তাঁর পরিবার। গত বৃহস্পতিবার রাতে এমদাদুলের মেয়ে মোছা. ইনতেজা আক্তার স্থানীয় থানায় ওই লিখিত অভিযোগ দেন।
ময়না তদন্ত শেষে সাধারণ ডায়েরি মূলে অপমৃত্যু মামলা দায়ের পূর্বক এমদাদুলের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সৈয়দপুর থানার ওসি মো. শাহ্জাহান পাশা অভিযোগ প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
একই দিন মিঠুন চন্দ্র রায়ের (১৭) নামে এসএসসি পরীক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়। সৈয়দপুর উপজেলার বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের খড়খড়িয়া নদীরপাড় এলাকার তাপস চন্দ্র রায়ের ছেলে সে। মিঠুনর চন্দ্র রায় মাদকাসক্ত ছিল। ঘটনার দিন গত বৃহস্পতিবার সকালে সে মায়ের কাছে মাদক সেবনের জন্য টাকা চেয়েছিল। কিন্তু তাঁর মা তাকে টাকা দিকে অস্বীকৃতি জানালে সে পরিবারের সদস্যদের অগোচরে নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে।
সৈয়দপুর থানার এস আই মো. আরমান হোসেন জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন