ফেনীর দাগনভূঁইয়ায় ডাকাতির কালে ৪ ডাকাতকে আটকের পর এলাকাবাসীর গণধোলাইয়ে ৩ ডাকাত নিহত ও ১ ডাকাত গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছে। এলাকাবাসী এবং দাগনভূঁঞা থানা সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার গভীর রাতে উপজেলার মাতুভূঁঞা আলীপুর গ্রামের হেদায়েতুল্লাহ ম্যানেজার বাড়িতে হানা দেয় একদল ডাকাত।
এ সময় বাড়ির লোকেরা ডাকাতের উপস্থিতি টের পেয়ে চিৎকার করে লোকজনকে ডাকতে থাকে। এলাকায় ডাকাত হানা দেওয়ার খবরে বিভিন্ন বাড়ি থেকে লোকজন দলবদ্ধভাবে বের হয়ে আসে। এ সময় ধাওয়া করে ৪ ডাকাতকে আটক করে এলাকাবাসী। উত্তেজিত মানুষ আটককৃত ৪ ডাকাতকে মারধর করে।
খবর পেয়ে দাগনভূঁঞা থানার টহল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থলেই এক ডাকাত নিহত হয়। বাকি ৩ জনকে ফেনী সদর হাসপাতালে আনার পর ২ জনের অবস্থার অবনতি হলে চট্টগ্রাম মেডিকেলে নেবার পথে তাদের মৃত্যু হয়। ৪ ডাকাতের মধ্যে ৩ জনের মৃত্যু হলেও ১ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
নিহত ৩ ডাকাতের পরিচয় পাওয়া গেছে। নিহত ডাকাত মো. সোহাগ মিয়া (২৮) ভোলার চরফ্যাশনের জসিম উদ্দিনের ছেলে ও মনির হোসেন (২৭) ঐ এলাকার মনোয়ার হোসেনের ছেলে। এছাড়া সোহাগ (২২) নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরকাঁকড়া গ্রামের সিরাজ উল্যার ছেলে।
দাগনভূঁঞা থানার ওসি সালেহ আহমদ পাঠান বলেন, ৪ ডাকাতের মধ্যে ৩ জনই মারা গেছে। এ বিষয়ে উর্ধ্বতন মহলের নির্দেশমতো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ফেনী সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আবু তাহের বলেন, ৪ ডাকাতের মধ্যে ৩ জনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন