নাটোরের লালপুর উপজেলা জুরে প্রতিনিয়ত ঘণঘণ লোডশেডিং ও ভ্যাবসা গরমে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে জনজীবন।
বিদ্যুৎ বিভ্রান্তির কাণে স্থবির হয়ে পড়েছে এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক অবস্থা। চৈত্র মাসের মাঝামাঝি থেকে নিয়োমিত বিদ্যুৎ না থাকায় বিদ্যুৎচালিত যানবাহন, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, স্কুল-কলেজ ও সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্টানগুলির কার্যক্রম নাজুক হয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, ‘প্রতিদিন সকাল, দুপুর ও সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ৫-৬ বার লোডশেডিং হওয়ায় চলমান এইচ এস সি পরীক্ষার্থীদের লেখাপড়া চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। ঘণঘণ লোডশেডিং হওয়ায় নাটোর পলীবিদ্যুৎ সমিতি-২ ও লালপুর সাব জোনাল অফিসের আওতায় কয়েক লাধিক গ্রাহকের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।’ উপজেলার গোপালপুর এলাকার গ্রহকরা বলছেন, প্রতিসপ্তাহের শুক্র ও শনিবার লাইন সংস্কারের অজুহাতে গোপালপুর পৌর এলাকায় বিদ্যুৎ সরবারহ বন্ধ থাকেই তার পরেও আবার প্রতিদিন ৫-৭ বার লোডশেডিং হচ্ছে।
উপজেলার ওয়ালিয়া, চকনাজিরপুর এলাকার বিদ্যুৎ গ্রহকরা বলছেন, ‘কয়েক সপ্তাহ ধরে এই এলাকায় লোডশেডিংয়ের কারনে গ্রাহকরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। বিদ্যুৎ অফিসের অভিযোগকেন্দ্রের ফোন নাম্বারে ফোন করলে অধিকাংশ সময় ফোন রিসিভ হয় না, রিসিভ হলেও লাইনের সমস্য, নাটোর থেকে লাইন বন্ধ অথবা যান্ত্রিক ত্রæটির খোড়া অজুহাত দেখিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিং সৃষ্টি করে জনগণকে বিভ্রান্ত করছেন।’ তারা আরো বলেন, ‘আকাশে মেঘ দেখলেই ও সামান্য বাতাস হলেই এই উপজেলায় শুরু হয়ে যায় লোডশেডিং। ফলে সরকারের উন্নয়ন ও বিদ্যুৎ উৎপাদনের সফলতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন লালপুর বাসী। এদিকে বিদ্যুৎ বিভ্রান্তের ব্যাপারে মাইকিং করে গ্রাহকদের সচেতন করা হচ্ছে না।’
এব্যাপারে নাটোর পলীবিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জেনারেল ম্যানেজার মমিনুল ইসলাম ইনকিলাব কে বলেন, লালপুরে কোন লোডশেডিং নেই, নাটোর পলীবিদ্যুৎ সমিতি-২ বনপাড়া সদর দপ্তরে লাইনটি ১৯৮০ সালের এই লাইনে অনেক কাঁঠের পুল আছে লাইনটি আপডেট করার জন্য বিদ্যুৎ বন্ধ রাখতে হয়। এছাড়া কোন লোডশেডিং নেই । আর গোপালপুর এলাকায় পৌরসভার লাইনটি আলাদা ভাবে করার জন্য কাজ চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন