এবার ভেঙে পড়লো বানারীপাড়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের ব্রাহ্মণকাঠী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সদ্য নির্মিত গেট। এতে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলো কোমলমতি শিক্ষার্থীরা, তবে আহত হয়েছেন মো. রনি নামের একজন শ্রমিক।
সরেজমিনে দেখা যায়, গেটের মূল অংশের মাঝেও ফাঁটল ধরেছে। জানা গেছে পিইডিপি-৩ প্রকল্পের আওতায় এলজিইডির বাস্তবায়নে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ওয়াল ও গেটনির্মাণ করেন বানারীপাড়ার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নুসরাত এন্টারপ্রাইজ’র সাব কন্টাক্টর মো. নাইম মোল্লা। ওই কাজ নিম্মমানের হওয়ায় প্রথম থেকেই এলাকার জনপ্রতিনিধিসহ সচেতন মহল বিভিন্ন সময় অভিযোগও করেছেন উপজেলা এলজিডি অফিসে। অভিযোগের এক পর্যায়ে বানারীপাড়া উপজেলা প্রকৌশলীর কাজ নিম্মমানের হওয়ায় গেট ভেঙে নুতন করে নির্মাণ করার জন্য নির্দেশ দেন। গত বৃহস্পতিবার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাসুম বিল্লাহ লেভার নিয়ে কাজ করছিলেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মূল গেটের ওপরে কাজ করার সময় হঠাৎ উপর থেকে নিচের দিকের বড় একটি ক্লাব ভেঙে পরে। এ সময় মো. রনি নামের এক শ্রমিকের পায়ে গুরতর জখম হয়। তাকে উদ্ধার করে বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
এবিষয়ে ওই এলাকার ইউপি সদস্য মো. শফিকুল ইসলাম সুমন ঘরামী এবং ব্রাহ্মণকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দুলু হালদার জানান, মূল গেট নির্মাণে ১৬ মিলি রড দেয়ার পরিবর্তে ১২ মিলি রড এবং ১২টি রড দেয়ার স্থলে মাত্র ৪টি রড দেয়ার কারনে গেটটির কাজ নিম্নমানের হয়। তারা অভিযোগ করেন, গেটটি নির্মাণের সময় কোন তদারকি করা হয়নি। এদিকে ওই বিদ্যালয়ের বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণে ও বড় ধরণের দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বাউন্ডারি ওয়ালের নিচের অংশে রড দেয়ার কথা থাকলেও ওই স্থানে রড ব্যাবহার করেনি ঠিকাদার নাইম মোল্লা। ওই কাজটি নির্মাণে প্রায় ৬ লাখ টাকা বরাদ্ধ ছিলো। ঠিকাদার নাইম সব অভিযোগ সত্যি নয় বলে জানান।
এ ব্যাপারে উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাসুম বিল্লাহ জানান, অভিযোগের প্রমান পাওয়ায় পূনরায় কাজটি করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন