শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

ইছামতির ভাঙনের কবলে উত্তর রাঙ্গুনিয়া

রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) থেকে নুরুল আবছার চৌধুরী | প্রকাশের সময় : ২১ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৬ এএম

রাঙ্গুনিয়ার উত্তরে পারুয়া ইউনিয়নের সৈয়দনগর গ্রাম দিয়ে প্রবাহিত ইছামতি নদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত এক বছরে এ এলাকায় ভাঙনে বিলীন হয়েছে দেড় শতাধিক পরিবার। বিলীন হওয়ার অপেক্ষায় হাজার পরিবার-স্থাপনা। তার মধ্যে মসজিদ, মাদরাসা, মন্দির, বিদ্যালয়সহ প্রায় অর্ধশতাধিক প্রতিষ্ঠান। আর মাত্র ২০ ফুট জায়গার মাটি সরে পড়লে বিলীন হবে উত্তর রাঙ্গুনিয়ার যোগাযোগ মাধ্যম ডিসিসড়ক ও এর উপরে নির্মিত লাটি ছড়াব্রিজও।
সরেজমিনে দেখা যায়, পারুয়া এলাকার সৈয়দ নগরসহ বিভিন্ন স্থানে ইছামতি নদী ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। সৈয়দ নগর থেকে পারুয়া লাবারড্যাম পর্যন্ত দুই কিলোমিটার নদীর ভাঙনে দুই শতাধিক ঘর-বাড়ি, ফসলি জমি, স্থাপনা নদীগর্ভে চলে গেছে। বর্তমানে ভাঙনে ঝুঁকিতে আছে উত্তর রাঙ্গুনিয়ার গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ মাধ্যম ডিসি সড়ক। এই এলাকা দিয়ে মাত্র বিশ ফুট ভাঙলে নদীতে তলিয়ে যাবে উপজেলার উত্তর-দক্ষিণের পাচঁ ইউনিয়নের যোগাযোগ পথ পারুয়া ইউনিয়নের ডিসি সড়কটি। এছাড়া সড়কের উপরে নির্মিত লাঠিছড়া ব্রিজটিও নদীতে বিলীন হয়ে যাওয়ার পথে।
আব্দুর গফুর নামে শতের কাছাকাছি বয়সের এক বৃদ্ধের সাথে কথা বললে তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে উত্তর রাঙ্গুনিয়ার পাচঁটি ইউনিয়নের মানুষ ইছামতি নদীর ভাঙনে কবলে পড়ে আছে। ভাঙন রোধে গত বছর স্থানীয় সংসদ সদস্য ড. হাসান মাহমুদের সুপারিশ সংবলিত একটি আবেদন পত্র পানি উন্নয়ন বোর্ড ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে করা হয়েছিল। এখনো পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
ভাঙনের ব্যাপারে স্বনিভর রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়নের ইছামতি নদী তীরবর্তী অবস্থতি নিয়াজী বাড়ি রাঙ্গুনিয়া মানবাধিকার সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ জহুরুল আনোয়ার বলেন, ইছামতি ভাঙনে এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের সমস্যা। যখন বৃষ্টি হয় সামন্য পানিতে ভরে উঠে অতৈয় পানি।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, পারুয়া ডিসি সড়কসহ বিভিন্ন নদী ভাঙনের ব্যাপারে পানি উন্নায়ন বোর্ডের সাথে যোগাযোগ করে তা রক্ষার ব্যাপারে প্রদক্ষেপ নেয়া হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন