মাত্র ৩২ বছরে দুই কিডনি হারিয়ে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে পড়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অফিস সহকারী মোর্শেদ বিন মাসুদ সুইট। ২০১২ সালে কিডনি রোগ ধরা পড়ার পর এই ৭ বছরে ২০ লাখ টাকা ব্যায় করেছেন। চিকিৎসা ব্যায় মেটাতে ভিটেবাড়ি, জমাজাতি ও চাকরীর টাকা ব্যায় করে সুইট ও তার পরিবার এখন নিঃস্ব। অবুঝ দুই সন্তান ইফতেহাজ ও মেয়ে আফরা পিতার এহেন দুরাবস্থা দেখে মাঝে মাঝেই প্রশ্ন করে বলে ওঠে ‘আব্বা তুমি ভাল হবা কবে’? শিশু দুই সন্তানের কথার জবাব দিতে গিয়ে বাস্পরুদ্ধ হয়ে আসে অসুস্থ পিতার কন্ঠ। কারণ সুইটকে বিত্তবান ও সমাজের দানশীল ব্যক্তিরা আর্থিক সহায়তা না করলে তার বেঁচে থাকার আশা একেবারেই ক্ষীন। মোর্শেদ বিন মাসুদ সুইট ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার উত্তর মীর্জাপুর গ্রামের মৃত আ,ফ মাসুদুর রহমানের ছেলে। মাগুরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের অফিস সহকারী সুইট বর্তমান ঝিনাইদহ শহরের ব্যাপারীপাড়া সিদ্দিকীয়া সড়কে বসবাস করেন। স্ত্রী তহমিনা জানান, স্বামীর জীবন রক্ষায় বিষয়আশায় সব কিছু বিক্রি করে এখন আমরা নিঃস্ব ও রিক্ত। প্রতি মাসে ওষুধ ও কিডনি ডায়ালেসিস করতে ব্যায় হচ্ছে ৫০ হাজার টাকা। সুইট এখন ঢাকার ইবনে সিনা ডি ল্যাব এন্ড কনসালটেশন সেন্টারের চিকিৎসক ডাঃ মোঃ আবদুল মুকীতের অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সুইটের ভগ্নিপতি আব্দুর রউফ জানান, ভারতের শ্রীপুরাম ভেলরের কিডনী রোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ কে ভেংকট রামন দ্রুত কিডনি প্রতিস্থাপনের পরামর্শ দিয়েছেন। এ জন্য ব্যায় হবে আনুমানিক ২৫ লাখ টাকা। কিন্তু পরিবারটির এই চিকিৎসা ব্যায় মেটানোর মতো কোন সাধ্য নেই। এ জন্য আমরা সমাজের বিত্তবান ও দানশীল ব্যক্তিদের দারাস্থ হচ্ছি।
সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা
মোর্শেদ বিন মাসুদ সুইট, ডাচ বাংলা ব্যাংক লিঃ হিসাব নং ১৬৮১০১৭৯০৩১, কুষ্টিয়া শাখা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন