শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

অভয়নগরে লবণাক্ততায় ইরির সর্বনাশ

অভয়নগর (যশোর) থেকে নজরুল ইসলাম মল্লিক | প্রকাশের সময় : ২৬ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৮ এএম

যশোরের অভয়নগরে পায়রায় গয়ার বিলে লবনাক্ত পানি প্রবেশ করানোর ফলে দেড়শ একর জমির ইরি ধান নষ্ট হয়ে গছে। ফলে কৃষকরা মারাত্মক আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে দিশে হারা হয়ে পড়েছে। বি আর ডিসি সেচ প্রকল্পের কারনে এই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা অভিযোগ করেছে। 

জানা গেছে,অভয়নগর উপজেলার পায়রা ইউনিয়নের গয়ার বিলে বিআর ডিসির সেচের আওতায় চলতি মৌসুমে প্রায় দেড়শ একর জমি কৃষকরা চাষাবাদ করে। বিআর ডিসির ওই সেচ প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা আছর আলী বোরিংয়ের মাধ্যমে উক্ত জমিতে সেচ দেয়ার কথা থাকলেও নদী থেকে নোনা পানি দিয়ে সেচ দিতে থাকে। কৃষকরা নোনা পানি সেচে না দেয়ার জন্য বাধা দিলেও আছর আলী স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালীর সহায়তায় জোর করে নোনা পানি চাষাবাদের জমিতে প্রবেশ করাতে থাকে। বিষয়টি ওই মাঠের দায়িত্বে থাকা কৃষি বিভাগের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা লুৎফর রহমানকে কৃষকরা জানান।
অতিরিক্ত মাত্রার লবনাক্ত পানি সেচের কাজে ব্যবহার করায় ঐ বিলের প্রায় দেড়শ একর জমির ইরি ধানের গোছা নষ্ট হয়ে গেছে। লবনের প্রভাবে ধান বের হবার আগে ধানের গোছা লাল বর্নের হয়ে গেছে। এ অবস্থার কারনে কৃষকরা ইরি ধান ঘরে তুলতে পারছে না। জমিতে লবনাক্তের প্রভাব থাকায় আগামী বোরো মৌসুমে ফসল উৎপাদন ব্যহত হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা আশংঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে যে, অধিকাংশ জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। এ বিষয়ে কথা বলতে গেলে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক আঃ হক, সবুর মোল্যা, নুরুল সরকার, সাদেক সরদার, আনিচ মোল্যা, জহুরুল, কাদের মোল্যাসহ অসংখ্য কৃষক চোখের জল মুছতে মুছতে বলে এ বছর ঘরে একমুঠো ধান ওঠাতে পারবো না। তারা বলেন প্রজেক্টের মাধ্যমে পাম্প দিয়ে পানি আনা হয়। কিন্তুু পানি লবনাক্ত হওয়ার কারনে পানি দিতে নিষেধ করা হয়। বিষয়টি কৃষি বিভাগের দায়িত্বে থাকা লুৎফর রহমানকে জানালেও কোন সুরাহা করেননি তিনি। এ বিষয়ে বিআর ডিসি সেচ প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা আছর আলীর সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, লোনা পানিতে কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। তবে মারাত্মক কোন ক্ষতি হয়নি। প্রথমে নদীর পানি দিয়ে সেচ দিলেও পরে বোরিং এর মাধ্যমে পানি তুলে সেচ দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে ওই মাঠের দায়িত্বে থাকা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা লুৎফর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, বিষয়টি সম্পর্কে অবগত করার জন্য কৃষি কর্মকর্তা বরাবর লিখিত প্রতিবেদন দাখিল করেছি। উপজেলা সিনিয়র কৃষি কর্মকর্তা গোলাম সামদানীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এই বিষয়ে অবগত নয়। পরে অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শাহিনুজ্জামানকে বিষয়টি অবগত করলে দায়ীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন