রমজানের ১০ দিন আগেই নাটোরের লালপুর উপজেলার সবজি বাজারে আগুন লেগেছে। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালীন সবজির দাম এতোটাই বেড়েছে যে নিম্নবিত্তদের নাগালের বাইরে চলে গেছে। রমজানের আগেই উৎপাদন এলাকায় সবজির দাম দ্বিগুন হওয়ায় অনেকটাই আতঙ্কে রয়েছেন সাধারণ মানুষ।
সরেজমিনে গতকাল সকালে লালপুর উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শীতের শেষে গ্রীষ্মকালীন সবজিতে ভরে উঠেছে বাজার। তবে শীতমৌসুম চলে গেলেও বাজার গুলিতে এখনও রয়েছে শীতের সবজি। এসব সবজি কিনতে দ্বিগুন টাকা গুনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। এতে সাধারণ ক্রেতারা চরম বিপাকে পড়েছেন। ওয়ালিয়া, গোপালপুর ও লালপুর বাজারে প্রতিকেজি করলা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, পটল বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, সজনে ডাটা ১০০ টাকা, পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা, পেঁয়াজ ১৫ টাকা, আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা, টমেটো ১৫ টাকা, বেগুন ৩৫ টাকা, শসা ৩০ টাকা, শিম ৪০ টাকা ও কাঁচামরিচ ৪০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা ও তরই ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।প্রতি হালি কাঁচাকলা ১৫ থেকে ২০ টাকা, লাউ (একটি) ২৫-৩০, চাল কুমড়া (একটি) ৩০ টাকা, পুঁইশাক ১০ টাকা, লাল শাক ৩ টাকা মুট, মিষ্টি কুমড়া ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
সবজি বিক্রেতা ফিরোজ হোসেন দৈনিক ইনকিলাব কে বলেন, ‘বাজারে শীতকালীন সবজির সরবরাহ কমে গেছে গ্রীষ্মকালীন সবজির চাহিদা বাড়েছে। সবজির চাহিদা বেশি থাকলেও সরবরাহ কম থাকার কারনে নতুন সবজির দাম বেশি।’
এ সময় সিয়াম ও শান্ত আহম্মেদ নামের ক্রেতা দৈনিক ইনকিলাব কে বলেন, ‘বর্তমানে গ্রীষ্মকালীন সবজির যা দাম তাতে বাজার করাই মুশকিল। রমজানের আগেই যদি এ অবস্থা হয় তাহলে রমজানের কী হবে..?। সবজির বাজার নিয়ন্ত্রনে নিয়োমিত বাজার মনিটরিংয়ের দাবি জানান সাধারণ ক্রেতারা।
এ ব্যাপারে লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মুল বানীন দ্যুতি দৈনিক ইনকিলাব কে বলেন, ‘রমজান উপলক্ষে সবজিসহ নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রনে আনতে খুব দ্রুত নিয়োমিত বাজার মনিটরিংয়ে নামবে উপজেলা প্রশাসন।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন