যৌতুকের জন্য নাদিরা আক্তার (১৯) নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে অজ্ঞান করে শরীরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করেছে তার স্বামী ও শ^শুর বাড়ির লোকজন। ঘটনাটি ঘটেছে গফরগাঁও উপজেলার পাশ^বর্তী কিশোরগঞ্জের জেলার হোসেনপুর উপজেলার সিদলা ইউনিয়নের সাহেবের চর গ্রামে। নিযার্তিতা গৃহবধূকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত বছরের ১৮ নভেম্বর গফরগাঁও উপজেলার পাঁচবাগ ইউনিয়নের দিঘীরপাড় গ্রামের মো. শামছুল হকের মেয়ে নাদিরা আক্তারের সাথে হোসেনপুর উপজেলার সাহেবের চর গ্রামের মো. সাহাজ উদ্দিনের ছেলে রুক মিয়ার (২৫) বিয়ে হয়। বিয়ের সময় নাদিরা পিতা হতদরিদ্র কাঠুরে শামছুল হক তার মেয়ের সুখের চিন্তা করে রুক মিয়ার পরিবারের দাবীকৃত ৫০ হাজার টাকা যৌতুক পরিশোধ করে।
শামছুল হক জানায়, বিয়ের পর থেকেই তার মেয়ে নাদিরার স্বামী রুক মিয়া নাদীরাকে আরও একলাখ টাকা যৌতুকের জন্য মারপিট করতো। রুক মিয়া কিছুদিন যাবৎ শ্বশুর বাড়ির লোকজনকে নানাভাবে চাপ দিচ্ছিল এক লাখ টাকা যৌতুক পরিশোধের জন্য। নাদিরার বাড়ির লোকজন রুক মিয়ার কথামত রাজি না হওয়ায় রুক মিয়া নাদিরার উপর অত্যাচার, নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছিল। গত ২২ এপ্রিল সোমবার রাত ৮টার দিকে এ নিয়ে কলহের জের ধরে নাদিরাকে মারপিট করে স্বামী ও তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন। নাদিরা বেহুশ হয়ে পড়ে। বেহুশ নাদিরার শরীরে আগুন লাগিয়ে বাইরে থেকে ঘরে দরজা বন্ধ করে দেয় পাষণ্ড স্বামী ও তার বাড়ির লোকজন। হুশ ফিরে এলে নাদিরার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে নাদীরাকে উদ্ধার করে। পরের দিন ২৩ এপ্রিল রোববার সকালে প্রতিবেশীরা অগ্নিদগ্ধ নাদিরাকে তার বাবার বাড়িতে দিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হলে এলাকাবাসী নাদিরা জন্য সাহায্য তুলে গতকাল শনিবার সকালে নাদিরাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করে। নাদিরা হাত, পা, মুখমন্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে গেছে।
এ ব্যাপারে হোসেনপুর থানার ওসি মো. আবুল হোসেন বলেন, ঘটনা শুনেছি। কোন অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন