শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

জাপানের শুরু হচ্ছে নতুন সম্রাটের শাসন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩০ এপ্রিল, ২০১৯, ৩:২৯ পিএম

আনুষ্ঠানিকভাবে মঙ্গলবার সিংহাসন ত্যাগ করছেন জাপানের সম্রাট আকিহিতো। পরেরদিন বুধবার পহেলা মে থেকে নতুন সম্রাট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন তার পুত্র যুবরাজ নারুহিতো। যদিও পুরোপুরি দায়িত্ব বুঝে নিতে আগামী অক্টোবর মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে তাকে।

আকিহিতোর এই সিদ্ধান্ত গত দুইশ বছরের মধ্যে দেশটির ইতিহাসে এক বিরাট পরিবর্তন আনল। কেনোনা এবারই প্রথম দেশটিতে কোনো সম্রাট তার মৃত্যুর আগে সিংহাসনের দায়িত্ব থেকে নিজেকে অব্যাহতি দিলেন। এর আগে সর্বশেষ ১৮১৭ সালে সম্রাট কোকাকু তার সন্তান যুবরাজ নিনকোর হাতে ক্ষমতা তুলে দিয়েছিলেন।

২০১৬ সালের আগস্ট মাসে আকিহিতো তার এই সিংহাসন ত্যাগের বিষয়ে ঘোষণা করেছিলেন। সে সময় তিনি বলেন, ‘আমার এখন ৮৫ বছর হয়ে গেছে। যে কারণে স্বাস্থ্য আর আগের মতো ভাল নেই, বয়সও বাড়ছে। তাই আমি আগেভাগেই এই সিংহাসন ছাড়ার পরিকল্পনা করছি।’

তার এই সিদ্ধান্তকে স্বাদরে গ্রহণ করে জাপানি জনগণ। পরবর্তীতে দেশটির পার্লামেন্টেও সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদিত হয়। এর আগে ১৯৮৯ সালে তৎকালীন সম্রাট হিরোহিতোর মৃত্যুর পর তার স্থলাভিষিক্ত হন আকিহিতো। মূলত সে বছরই তাকে দেশটির সিংহাসনে বসানো হয়। জাপানে সম্রাটের এই পদটি মূলত আলংকারিক। তার কোনো রাজনৈতিক ক্ষমতা নেই। তিনি রাজনীতি নিয়ে কখনোই কোনো ধরনের মন্তব্যও করতে পারেন না।

জাপানের এই সম্রাটের দুই সন্তানের মধ্যে নারুহিতো হচ্ছেন বড় সন্তান। নারুহিতো বর্তমানে ৫৯ বছর বয়সী। তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়ালেখা শেষ করেছেন। তিনি ইতোমধ্যে বিশ্ব বিখ্যাত টেমস নদীর ওপর একটি গবেষণাপত্রও লিখেছেন।

সূর্যোদয়ের দেশ খ্যাত জাপানে যখন সম্রাট বদল হয় তখন তার হাত ধরেই এক নতুন যুগের সূচনা হয়। প্রত্যেক সম্রাটের রাজত্ব আমলের একটি নাম রয়েছে; যেটিকে মূলত খ্রিস্টীয় বর্ষপঞ্জির পাশাপাশি ব্যবহার করা হয়। নতুন সম্রাট নারুহিতোর রাজত্বের নাম এরইমধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে। যা নির্ধারণ করা হয়েছে ‘রেইওয়া’ নামে। যা বাংলায় অনুবাদ করলে দাঁড়ায় ‘শৃঙ্খলা এবং শান্তি’। এবারই প্রথমবারের মতো দেশটির একটি প্রাচীন কবিতা থেকে এই নামটি নেওয়া হয়। এর আগে সম্রাট আকিহিতোর যুগের নাম রাখা হয়েছিল ‘হেইসেই’। আর যার বাংলা অর্থ হলো ‘শান্তি অর্জন’। সূত্র: বিবিসি।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন