ভাগলপুর গ্রামের সাজিম খাঁনের বাসা থেকে সানিয়া হক ঐশি নামে এক এইচএসসি পরীক্ষার্থী হাত-পা বাঁধা অজ্ঞান অবস্থায় প্রতিবেশিরা উদ্ধার করে জহিরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সানিয়া হক ঐশি আফতাব উদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজের মেধাবী ছাত্রী।
জানা যায়, গত বুধবার বিকাল সাড়ে ৫টায় সাজিম খাঁনের ৩ তলা বাসার ভাড়াটিয়া আফতাব উদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক পাশের রুমে ঐশিকে হাত-পা, চোখ-মুখ বাধা দেখতে পেয়ে বাসার মালিক ও মালিকের স্ত্রী বেগম রহিমা স্কুলের সহকারী শিক্ষিকাকে বলেন। এ খবর পেয়ে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসে। সাবেক পৌর কমিশনার উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. মাসুদ মিয়াসহ অন্যান্যরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯ টা পর্যন্ত তার জ্ঞান ফিরেনি। এদিকে খবর পেয়ে বাজিতপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঐশির মোবাইল ফোনসহ কিছু আলামত পুলিশ নিয়ে গেছে বলে বাসার মালিক ইনকিলাব প্রতিনিধিকে জানান। সকাল ৮টায় হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, তখনো তার জ্ঞান ফিরে আসেনি। কর্তব্যরত ডাক্তারের সঙ্গে আলাপ করলে এ সম্পর্কে তিনি কিছু জানাতে পারেনি। তখন পর্যন্ত বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার রির্পোট পাওয়া যায়নি। এই রহস্যজনক ঘটনা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
এলাকাবাসী আরো জানান, গত ২৩ এপ্রিল একই বাসায় সিড়ি কোটা, জানালায় গভীর রাতে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। প্রতিবেশিরা আগুন দেখে চিৎকার করতে থাকলে এলাকাবাসী এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। এ ব্যাপারে থানায় পরের দিন একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। ঐশির মা শিউলী আক্তার একজন এনজিও কর্মী। তাদের বাড়ি সরারচর ইউনিয়নের তেঘরিয়া গ্রামে। ঐশির বাবা জহিরুল হক শাহাজাদা মারা গেলে দু’বছর ধরে ঐ বাসায় বসবাস করছেন। কয়েক বছর আগে এই বাসায় পরিবার পরিকল্পনা অফিসের একজন কর্মী ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন