বেগমগঞ্জ উপজেলার জিরতলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মিলনের ছোঁড়া গুলিতে ৫ জন গুলিবিদ্ধ ও তার লোকজনের হামলায় আরো অন্তত ৩ জন আহত হয়েছে। বুধবার দিবাগত রাত সোয়া ১০টার দিকে জিরতলী বাজারে এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধরা হলো, ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক মাসুদ চৌধুরী, তার সমর্থক হৃদয় হোসেন, নাজিমুদ্দিনসহ ৫জন। আহতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ মার্চ জিরতলী বাজারের ইজারা ঘোষণা করা হয়। বাজারের ইজারার দায়িত্ব পান স্থানীয় মন্নান নামের এক ব্যক্তি। পরে ওই বাজারে টাকা তোলার দায়িত্ব দেয়া হয় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মাসুদ চৌধুরীকে। কিন্তু এরপর থেকে স্থানীয় চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মিলনের লোকজন প্রতিনিয়ত বাজারে ইজারার টাকা তুলতো। যার ফলে মাসুদ কোন টাকা তুলতে পারতো না।
গুলিবিদ্ধ মাসুদ চৌধুরীর ভাই মোশারফ হোসেন বাবুল অভিযোগ করে বলেন, চেয়ারম্যানের লোকজন টাকা তোলার বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার অভিযোগ করলেও চেয়ারম্যান তাদের উল্টো হুমকি ধমকি দিয়ে আসছিলো। গত ৪দিন আগে বিষয়টি নিয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ওমর ফারুক বাদশা ও মাসুদ চেয়ারম্যানকে জানালে চেয়ারম্যানের সাথে তাদের মধ্যে বাকবির্তকের ঘটনা ঘটে। ওই সময় চেয়ারম্যান মাসুদকে গুলি করার হুমকি দেয়। এর সূত্র ধরে বুধবার সকাল থেকে কয়েকটি দোকানে ও গাড়ি থেকে টাকা তোলে মাসুদের সমর্থকরা। রাতে চেয়ারম্যানের ভাড়াটে ও বহিরাগত লোকজনের কয়েকটি গ্রুপ বাজারে এসে অবস্থান নেয়। এ বিষয়টি স্কুল রোডস্থ চেয়ারম্যানের নিজস্ব কার্যালয়ে জানাতে যায় মাসুদ ও তার লোকজন। এ সময় চেয়ারম্যান ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়ে ও বহিরাগত সন্ত্রাসীরা মাসুদের সমর্থকদের কুপিয়ে, পিটিয়ে জখম করে। এতে মাসুদসহ ৫জন গুলিবিদ্ধ ও কোপের জখমসহ অন্তত ৩ জন আহত হয়েছে। তিনি আরো অভিযোগ করেন, গুলির ঘটনার পর চেয়ারম্যানের সমর্থক নিশানের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী তাঁর দুই ভাইয়ের বসত ঘরে হামলা চালিয়ে ব্যপক ভাঙচুর করেছে। এ বিষয়ে কথা বলতে জিরতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মিলনের ব্যবহৃত মোবাইলে একাধিক বার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
বেগমগঞ্জ থানার ওসি ফিরোজ আলম মোল্লা জানান, বাজারের ইজারার টাকা তোলা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। ঘটনায় কোন পক্ষই থানায় অভিযোগ করেননি। এক প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, সংঘর্ষের সময় কারা গুলি ছুঁড়েছে তা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন