সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁশদহা ইউনিয়নে খাল খননের নামে লুটপাট করে পালিয়ে যাওয়ার সময় খনন মেশিন আটকে দিয়েছে গ্রামবাসী।
গ্রামবাসীর অভিযোগ, কার্যাদেশে অনুযায়ী উপরে ৪০ ফুট, তলদেশে ১৪ ফুট এবং গড়ে পাঁচফুট গভীর করে বাঁশদহা ইউনিয়নের কাওনডাঙ্গা খাল খনন করার কথা। খনন শুরুর সময় খালে পানি ছিল। এখনও পানি রয়েছে। এই সুযোগে নামমাত্র খনন দেখিয়ে ঠিকাদার এলাকা ত্যাগ করছিলেন। পানি সেচ না করেই খালের দুই পাশ থেকে কিছুটা মাটি কেটে পাশেই ঢিবি তৈরি করা হয়েছে। দুর্নীতির কারণে খাল খননের প্রকৃত উদ্দেশ্য নস্যাৎ হয়ে গেছে।
জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে বিএডিসির বৃহত্তর খুলনা-যশোর জেলার ক্ষুদ্র সেচ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁশদহা ইউনিয়নে দুই কিলোমিটার খাল খননের প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। এ কাজে বরাদ্দ দেয়া হয় সাড়ে ১৮ লাখ টাকা।
বাগেরহাটের মোল্লারহাট এলাকার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আকাশ এন্টারপ্রাইজের ফিরোজ মোল্লা এই কাজের টেন্ডার পান। এরপরই তিনি কাজ শুরু করেন। নির্দেশ অনুযায়ী কাওনডাঙ্গা সেতু থেকে দুই কিলোমিটার দক্ষিণ বরাবর এই খাল খননের কথা।
বাঁশদহা ইউপি চেয়ারম্যান এসএম মোশাররফ হোসেন জানান, তিনি কাজের শুরু দেখেছেন। আর এখন দেখছেন কাজের নামে ফাঁকি। তিনি বলেন, যে খালে পানি থাকে সে খাল কিভাবে খনন হয়। তা ছাড়া যতোটা খনন করার কথা তাও করা হয়নি। খুব বেশি হলে তিন লাখ টাকার কাজ হয়েছে বলে ধারণা করা যায়। তিনি নিজেই এর প্রতিবাদ করেছেন।
তিনি জানান, কয়েকদিন আগে ঠিকাদারের লোকজন খনন কাজ শেষ দেখিয়ে স্কেভেটর মেশিন নিয়ে চলে যাচ্ছিল, এ সময় এলাকার লোকজনসহ কৃষিজীবীরা তাদের মেশিন আটকে দেন।
জানতে চাইলে বিএডিসির সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের উপসহকারী প্রকৌশলী চিন্ময় চক্রবর্তী জানান, কাজের সময় শেষ হবে জুন মাসে। এখনও হাতে সময় আছে। আমি চেষ্টা করছি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শতভাগ কাজ শেষ করাতে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন